মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

শ্রেণিকক্ষেই অধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা

লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে মাথা ডোবায়

সাভার প্রতিনিধি

শ্রেণিকক্ষেই অধ্যক্ষকে কুপিয়ে হত্যা

মিন্টু চন্দ্র বর্মণ

সাভারের আশুলিয়ায় মিন্টু চন্দ্র বর্মণ নামে নিখোঁজ এক কলেজ অধ্যক্ষের ছয় খন্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।

নিহত মিন্টু চন্দ্র বর্মণ লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের বাড়াইপাড়া গ্রামের শরত বর্মণের ছেলে।

র‌্যাব-৪ সিপিসি-২-এর কমান্ডার লে. কমান্ডার  রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গত ১৩ জুলাই আশুলিয়া থানায় ওই শিক্ষক নিখোঁজের জিডি করে তার পরিবার। ওই ঘটনায় র‌্যাব পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ ওই শিক্ষকের ছয় খন্ড মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

র‌্যাব বলছে, মিন্টু বর্মণকে হত্যার পর লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠে পুঁতে ফেলা হয়। দেহ থেকে মিন্টুর মাথা বিচ্ছিন্ন করে উত্তরায় একটি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। ২৮ দিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে গতকাল সকালে এক খুদে বার্তায় সাংবাদিকদের অভিযান চালানোর তথ্য জানানো হয়। র‌্যাব জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়ায় রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এলাকায় মিন্টু বর্মণের লাশ উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে।

মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে জামগড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েন। অন্য তিন সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। মিন্টু চন্দ্র বর্মণ ছিলেন এর অধ্যক্ষ। গত ১৩ জুলাই থেকে তার সন্ধান মিলছিল না। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের ভাষ্যমতে, স্কুলের শ্রেণিকক্ষেই মিন্টু বর্মণকে কুপিয়ে খুন করা হয়। লাশ ছয় টুকরা করে স্কুলের মাঠেই পুঁতে ফেলা হয়। এরপর বিচ্ছিন্ন মাথা ফেলা হয় দক্ষিণখানের আশকোনা এলাকায়। আটক সবাই খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর