বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমাদের গবেষণা, বিনিয়োগ বা ব্যাংকিংয়ের জায়গায় বড় দুর্বলতা হলো সঠিক তথ্য প্রাপ্তি। এ ঘাটতি পূরণে গবেষক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য গবেষণা গ্রন্থ হিসেবে ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পাশাপাশি এ গ্রন্থটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট গভর্ন্যান্সের জবাবদিহিতার বিষয়টিকে আরও শক্তিশালী করবে। গতকাল ভার্চুয়ালি এক ওয়েবিনারে ব্যাংকিং অ্যালমানাক তৃতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং গ্রন্থটির এডিটরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং দেশি-বিদেশি গবেষণা সংস্থা যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করেন তাদের জন্য এই ব্যাংকিং অ্যালমানাক খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা এ বইটিতে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য একসঙ্গে পাবেন। যা তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পেতে সহায়তা করবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. নজরুল হুদা, নেদারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমীন, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফসিএ মো. খলিলুর রহমান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসির পরিচালক সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক এবং সাপ্তাহিক শিক্ষাবিচিত্রার সম্পাদক আবদার রহমান।
