রবিবার, ২২ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

মাহফুজ আনাম মতিউর রহমানের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

মাহফুজ আনাম মতিউর রহমানের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ওয়ান-ইলেভেনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। একই সঙ্গে এ দুটি পত্রিকার সম্পাদককে সম্পাদকীয় পদ থেকে বহিষ্কারের আহ্বানও জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের  পাদদেশে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ভাস্করশিল্পী রাশা, সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ প্রমুখ। সমাবেশ থেকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচার করার দাবিও জানানো হয়। মানববন্ধনে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন প্রধান ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে যেভাবে ব্রিফ করেছিলেন, তিনি সেভাবেই তার মিডিয়ার মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেন। তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও ওয়ান-ইলেভেন একই সূত্রে গাঁথা। যারা জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে, বিদেশি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিলেন সেই সম্পাদকদের গ্রেফতার দাবি করছি। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আপনারা এই সম্পাদকদের মুখোশ উন্মোচন করুন। যারা সেদিন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিলেন, এখনো যেসব ষড়যন্ত্র করছেন তা প্রকাশ করুন। মাহফুজ আনাম তার দোষ স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি ভুল করে একটি লেখা ছাপিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনা হয়নি। আমরা রাষ্ট্রের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, মাহফুজ আনামরা কি রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী? তারা যদি রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী হয়, তাহলে তাদের হাতে দেশ ছেড়ে দিন। 

আল মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সেদিন যারা রাজনীতি থেকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তখন যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে পরবর্তীতে কেউ আর এমন ষড়যন্ত্র করার সাহস পেত না। আপনি কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন না, অন্যরা এটি দেখে উৎসাহিত হবে। তিনি বলেন, মাহফুজ আনাম নিজে টকশোতে গিয়ে বলেছিলেন, তখনকার গোয়েন্দা সংস্থা তাকে যে তথ্য দিয়েছে, সে তথ্য যাচাই-বাছাই না করে তিনি তার পত্রিকা ডেইলি স্টারে প্রকাশ করেছিলেন। এটি তার ভুল হয়েছে, তিনি ভুল স্বীকার করেছেন। তার একটি ‘ভুলের’ কারণে দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে দিনের পর দিন কারাবরণ করতে হয়েছে। একটি ‘ভুলের’ কারণে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে জেলে যেতে হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, বাংলাদেশের জনগণকে অনেক ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছে। সুতরাং মাহফুজ আনাম, আপনি আইনের মধ্যে। আপনার বিচার হতে হবে।

সর্বশেষ খবর