আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই পঁচাত্তরের বুলেট আবারও ফিরে এসেছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে  কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০০৪ সালের এই দিনে আমরা মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে সেখানে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। হামলার পর পুলিশ আমাদেরকে কোনো সহায়তা করেনি। তারা তখন শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে গুলি বর্ষণ করে। লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে কর্মীদের ওপর। ওবায়দুল কাদের বলেন, গ্রেনেড হামলার উদ্দেশ্যই ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। তাই ১৯৭৫-এর বুলেট ২০০৪ সালে প্রাণঘাতী বুলেট হয়ে আবার ফিরে এসেছিল। তিনি বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার ও তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার সবই করেছিল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ঘটনায় প্রহসনের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিশন এই হামলার জন্য পার্শ্ববর্তী একটি দেশকে দায়ী করে। গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড যারা বিদেশে আছে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হবে।