বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

সরকারি কর্মচারীদের চামচাগিরির দরকার নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি কর্মচারীদের চামচাগিরির দরকার নেই

প্রশাসনের কর্মচারীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সত্য কথা বলুন। নিরপেক্ষভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করুন। চামচাগিরি, তোয়াজ-তোষণ করার কোনো প্রয়োজন নেই। গতকাল সচিবালয় চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মো. খাইরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সচিবালয়ে যারা কাজ করেন, শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের কাছে সততা চায়, স্বচ্ছতা চায়, নিরপেক্ষতা চায়। পক্ষ নিয়ে এখানে তোয়াজ-তোষণ করবেন, এটা আমরা চাই না। এই তোয়াজ-তোষণের ফল ভালো নয়। পরিণতি শুভ নয়। তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের সঙ্গে, প্রশাসনের সঙ্গে, ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদদের সঙ্গে একটা সেতুবন্ধ থাকতেই হবে। আইনপ্রণেতারা আইন প্রণয়ন করবেন।

পলিসি নির্ধারণ করবেন রাজনীতিকরা, সেটা বাস্তবায়ন করবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে সেখানে বিরোধপূর্ণ কোনো পরিবেশ প্রত্যাশিত নয়। সেখানে সংঘাতের কোনো অবস্থা মোটেই কাম্য নয়। যার যার অবস্থানে তার তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগের বাংলাদেশকে দেখেছি। ১৫ আগস্টের পরের ছবিও দেখেছি। আমার ভয় হয়, যখন আমি সচিবালয়ের আশপাশে বিলবোর্ড, পোস্টার আর ব্যানারে আকাশ পর্যন্ত ঢেকে গেছে, এমন পরিবেশ দেখি। চোখের পলকে ১৫ আগস্ট ঘটে গেল, যাদের দেখতাম নব্য আওয়ামী লীগার সেজে মুজিবকোট পরত, ১৫ আগস্টের পর মুজিবকোট লুকানোর দৃশ্যপটও ভুলিনি। আজ বাংলাদেশের যত্রতত্র অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তুলেছে। যদি হঠাৎ চোখের পলকে কোনো অঘটন ঘটে যায়, তখন কি এসব ম্যুরাল রাখবেন। যারা করেছেন তারাই ভেঙে ফেলবেন। এই দৃশ্যপট অনেক দেখেছি। তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি, আপনারা যদি আমার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার হন, তাহলে দুঃখ লাগে। এখন অনেকেই নব্য আওয়ামী লীগার, আমাদের চেয়েও যেন বড় আওয়ামী লীগার। কথায় কথায় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। কিন্তু এটা কি মনের কথা! অনেককেই দেখেছি ১৫ আগস্টের আগে কী বক্তব্য দিয়েছেন। ১৫ আগস্ট ঘটার পর রাতারাতি ভোল পাল্টে ফেলেছেন। এ ভোল পাল্টানো আওয়ামী লীগারদের আমার প্রয়োজন নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর