শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
সমঝোতা চান বাবা-মা

একমত হলেই দুই জাপানি শিশুকে হোটেলে রাখার সিদ্ধান্ত : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

একমত হলেই দুই জাপানি শিশুকে হোটেলে রাখার সিদ্ধান্ত : হাই কোর্ট

বাবা ও মা একমত হয়ে আদালতে আবেদন দাখিল করলে দুই জাপানি শিশুকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিবর্তে উন্নত হোটেলে রাখার আদেশ দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এমন মন্তব্য করে। জাপানি দুই শিশুর মা নাকানো এরিকো ও বাবা বাংলাদেশি ইমরান শরীফ দুজনই সমঝোতা চাইছেন। গতকাল উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে এসে তারা এ কথা জানান। শিশুদের বাবার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক আদালতে বলেন, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে দুই শিশুর কষ্ট হচ্ছে। শিশুদের বাবা হোটেলের সব খরচ বহন করবেন। তখন আদালত বলে, শিশুদের মা পেশায় চিকিৎসক নাকানো এরিকো ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার নিয়ে কোনো অভিযোগ করছেন না। তারা বলছেন, শিশুরা ভালো আছে। আপনারা উভয়পক্ষ যদি শিশুদের হোটেলে বা কোনো বাসায় রাখতে একমত হন, তবেই আমরা শিশুদের হোটেলে রাখার ব্যাপারে আদেশ দিতে পারি। এর আগে ২৩ আগস্ট নাকানো এরিকো নামের সেই জাপানি নারীর দুই শিশু কন্যাকে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এ সময়ের মধ্যে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মা এবং বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাবা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়। ৩১ আগস্ট শিশুদের হাই কোর্টে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার আগে গত রবিবার রাতে ১০ ও ১১ বছর বয়সী মেয়ে দুটিকে হেফাজতে নেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সন্তানও চান, সমঝোতাও চান বাবা-মা : জাপানি দুই শিশুর মা নাকানো এরিকো ও বাবা ইমরান শরীফ দুজনই সমঝোতা চাইছেন। সন্তানদের হাতছাড়া করতে চাইছেন না কেউই। গতকাল উইমেন সাপোর্ট সেন্টারে সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে এসে সাংবাদিকদের এমন কথা জানান তারা। গতকাল দুপুরে এরিকোর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, যেহেতু মা এরিকো এবং বাবা ইমরান শরীফের তালাক আনুষ্ঠানিকভাবে হয়নি। তাই সমঝোতা করতে তাদের অনুরোধ করেছে আদালত। সে চেষ্টাই করতে চান মা এরিকো। বাবা ইমরান শরীফ জানান, মূলত ফ্ল্যাটের ইনস্টলমেন্ট দেওয়া নিয়ে এই সংকটের শুরু হয়েছে। কভিডকালীন সংকটে অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় উকিল নোটিস দেওয়া হয়। এরপরই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ইমরান। যে কোনো মূল্যে সন্তানদের দূরে পাঠাতে চান না বলেও জানান তিনি। মেয়ে দুটির বাবা বাংলাদেশি ইমরান শরীফের কাছ থেকে সন্তানদের নিজের জিম্মায় পেতে গত ১৯ আগস্ট হাই কোর্টে রিট করেন নাকানো এরিকো। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ ওই দুই শিশুকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয়। গুলশান ও আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শিশুদের আদালতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর