শিরোনাম
শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

ফের বিপাকে আমিরাত প্রবাসীরা

বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর টেস্ট না থাকায় সংকটে ৬ হাজার প্রবাসী

জুলকার নাইন

ছুটিতে দেশে এসে আটকা পড়া ৬ হাজারের বেশি সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী নতুন করে সংকটের মধ্যে পড়েছেন। কারণ আমিরাত সরকার নতুন করে শর্ত দিয়েছে, বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটের আগের ৬ ঘণ্টার মধ্যে র‌্যাপিড পিসিআর টেস্ট করে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতে হবে। র‌্যাপিড পিসিআরের এই নেগেটিভ রিপোর্ট না থাকলে মিলবেই না আরব আমিরাতে প্রবেশের অনুমতি। কিন্তু বাংলাদেশে নেই এই র‌্যাপিড পিসিআর টেস্টের মেশিন। আবার এই মেশিন কিনে এনে স্থাপনও সময়সাপেক্ষ বলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে র‌্যাপিড পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে আটকে পড়া প্রবাসীদের।

আরব আমিরাত প্রবাসী এস এম মহিউদ্দিন বেলাল বলেন, ৬ হাজারের বেশি প্রবাসী ছুটিতে এসে আটকা পড়েছেন। অনেকের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, অনেকের হওয়ার পথে। শুধু দুবাই সরকার ভিসার মেয়াদ বাড়ালেও অন্য রাজ্যগুলোতে ভিসার মেয়াদ বাড়ায়নি। ফলে আরব আমিরাতে সময়ের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়া এখন ভাগ্যের ওপরে নির্ভর করছে।

প্রবাসীরা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৩ মে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় বাংলাদেশের ফ্লাইটের ওপর। এ কারণে কেউ সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারছেন না। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপালের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- বিমানবন্দরে ফ্লাইট ছাড়ার ৬ ঘণ্টার মধ্যে র‌্যাপিড  পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ রিপোর্টপ্রাপ্ত যাত্রীরা আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে তাদের আরব আমিরাতে প্রবেশের পর পুনরায় দ্বিতীয়বার করোনা টেস্ট করা হবে। এ নির্দেশনা আসার পর ভারত ও পাকিস্তান ইতিমধ্যে বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে ফেলেছে। এই দুই দেশের প্রবাসীরা কাজে ফিরে যাচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশিরা ফিরতে পারছেন না। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। যারা দেশটিতে চাকরি করেন, তারা কাজ হারানোর শঙ্কায় রয়েছেন। যাদের ব্যবসা রয়েছে তারাও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। জানা যায়, দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়ে কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন আটকে পড়া প্রবাসীরা। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন শহরে মানববন্ধন করেছেন তারা। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে দাবি বাস্তবায়নে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। আন্দোলনরতদের স্মারকলিপির পর বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে চিঠি দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সেই চিঠির আনুষ্ঠানিক জবাব এখনো পাঠানো হয়নি। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে র‌্যাপিড পিসিআর টেস্ট করার মেশিন নেই। আগে প্রয়োজন না হওয়ায় এই ব্যবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ পরিচিতও নয়। এখন প্রয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া যাবে। সেজন্য বিদেশ থেকে মেশিন কিনে এনে স্থাপন করে পরিচালনা উপযোগী করতে সময় লাগবে। অতিদ্রুত এর সমাধান সম্ভব হবে না বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর