শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

জঙ্গি পরিচয়ে দুই বিচারককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি

টাঙ্গাইল ও জয়পুরহাট প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল ও জয়পুরহাটে জঙ্গি পরিচয়ে দুই বিচারককে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিনকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন। এ ছাড়া তাকে হত্যায় ব্যর্থ হলে ঘনিষ্ঠ স্বজন আউট সোর্সিং হিসেবে প্রসেস সার্ভার পদে চাকরিরত এক ছেলেকে গলা কেটে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিচারকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বিচারক খালেদা ইয়াসমিনসহ তার পরিবারের লোকজন।

আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার একটি খাকি খামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিনের কাছে একটি চিঠি আসে। সেখানে প্রেরকের স্থানে জুবায়ের রহমান লেখা রয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনি নারী ও শিশু কোর্টে আসার পর কয়েকটি বড় ধরনের মামলার রায় দিয়েছেন। তাতে আমাদের লোকজনের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। তাই আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলছি যদি নিজের জীবনের প্রতি মায়া থাকে, তাহলে টাঙ্গাইল থেকে বদলি হয়ে চলে যান। যদি কথা না শুনেন তাহলে আমরা আপনাকে হত্যা করতে বাধ্য হব।’

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন জানান, চিঠিটি পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া তিনি ও তার পরিবারের লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এদিকে, জয়পুরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তুম আলীকে ‘তালেবান’ পরিচয়ে হুমকির চিঠি পাঠানো হয়েছে। গতকাল সকালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তুম আলীর কাছে ডাকযোগে হুমকির একটি চিঠি আসে। তিনি বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। প্রেরকের নাম লেখা রয়েছে মো. আশরাফ আলী। ঠিকানা জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা দুর্গাদহ। চিঠিতে  প্রেরক নিজেকে তালেবান গোষ্ঠীর বীর যোদ্ধা পরিচয় দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের মতো শিগগিরই বাংলাদেশ দখল হবে। তালেবানের অধীনে বিচার-আচার হবে  কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী। আদালতে যাওয়ার সময় বিচারক-আইনজীবী-মহুরি সবার মাথায় তালেবান পাগড়ি পরতে হবে। নইলে আদালতে যেতে দেওয়া হবে না। হামলার শিকার হতে হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভুঞা বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এ ঘটনা ঘটাতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করছি,  দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর