আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে কারাগারে গিয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে। আইনিভাবে প্যারোলে মুক্ত থাকা অবস্থায় একই বিষয়ে দ্বিতীয় দফা আবেদন নিষ্পত্তির সুযোগ নেই।
গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল লা ভিঞ্চিতে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম ও এমআরডিআই-এর যৌথ আয়োজনে সাংবাদিকদের এক কর্মশালায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সভাপতি মাশহুদুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, এমআরডিআই-এর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর, ক্রাবের সভাপতি মিজান মালিক, নিউ এজের বার্তা সম্পাদক শহীদুজ্জামান। সঞ্চালনা করেন এলআরএফের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন। এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে আবারও তাঁকে জেলে যেতে হবে। এরপর নতুন করে তাঁকে আবেদন করতে হবে। কারণ যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দন্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তার আলোকে তাঁকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই আবেদন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন আরেকজনকে হেয় করে, অপদস্ত করে, কাজেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন আছে। তবে এ আইনের অপব্যবহার বন্ধ হচ্ছে। গত তিন মাস লক্ষ্য করে দেখবেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার অনেকটাই কমে এসেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানি প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিল শুনানির লক্ষ্যে ১৫ সেপ্টেম্বরের আগেই বেঞ্চ নির্ধারণের জন্য আবেদন করতে অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছি।
