ঢাকার ভাটারায় এক যুবককে বাসায় ডেকে নিয়ে অতিরিক্ত মদ খাইয়ে বেধড়ক মারধরে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ বনপাড়া পৌর শহরের সাগরের মোড় এলাকার নিজ বাড়ি থেকে হত্যায় জড়িত অভিযোগে জীবন গমেজ (৫০) ও তার মেয়ে প্রিয়াংকা গমেজকে (২০) আটক করে। ওই রাতেই তাদের ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে শনিবার বিকালে ভাটারার ছোলমাইদ মহল্লার জীবন গমেজের বাসার টয়লেট থেকে রিগ্যান রোজারিওর (২৫) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রিগ্যান বড়াইগ্রামের জোনাইল দ্বারিকুশী গ্রামের মৃত প্রফুল্ল রোজারিওর ছেলে।

ভাটারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মুক্তারুজ্জামান জানান, শনিবার বিকাল ৩টার দিকে ছোলমাইদ মহল্লার ছয় তলা ভবনের তিন তলায় জীবন গমেজের ভাড়া বাসার তালা ভেঙে রুমে ঢুকে টয়লেট থেকে রিগ্যানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৮টার পর কোনো একসময় রিগ্যান ওই বাসায় আসেন। পরে তারা উভয়ে মদপান করেন। একপর্যায়ে মদ্যপ অবস্থায় জীবন তাকে বেধড়ক মারধর করলে তার মৃত্যু হয়। পরে তাকে টয়লেটে আটকে রেখে বাসায় তালা দিয়ে বাবা ও মেয়ে বনপাড়ায় নিজ বাড়িতে আত্মগোপন করেন। রিগ্যানের পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইল ফোন দীর্ঘ সময় বন্ধ পেয়ে ও অনেক খোঁজ করে সন্ধান না পাওয়ায় ভাটারা থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে রিগ্যানের মোবাইল ফোনের নম্বর ও কল বিশ্লেষণ করে জীবনের বাসা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বোন আলো রোজারিও আটক বাবা-মেয়ে এবং অজ্ঞাত আরও দু-তিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।