বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

৪৩ বছরে কঠিন দুঃসময় বিএনপির

মামলা ও আইনি বাধায় নেতারা, অগোছালো দল ও অঙ্গসংগঠন, ঝিমিয়ে পড়া নেতা-কর্মীদের চাঙা করাই চ্যালেঞ্জ

মাহমুদ আজহার

আজ ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠার ৪৪ বছরে পা দিচ্ছে বিএনপি। এ উপলক্ষে দেশব্যাপী দুই দিনের কর্মসূচি নিয়েছে দলটি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-  দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ, পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা প্রভৃতি।

৪৩ বছর অতিক্রম করা বিএনপির এখন কঠিন দুঃসময় চলছে। টানা প্রায় ১৪ বছর ক্ষমতার বাইরে আছে দলটি। ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আছে লক্ষাধিক মামলা। দলের প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও ৩৭টি মামলা আছে। সরকারের নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পেয়ে গুলশানে নিজ বাসভবনে থাকলেও কার্যত তিনি সেখানে একরকম বন্দীই রয়েছেন। দুই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজার রায় হয়েছে। নানা অসুখ-বিসুখে থাকা বিএনপি প্রধানের নির্বাচনী ভবিষ্যৎও আইনি বাধায় আটকা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধেও রয়েছে অর্ধশত মামলা। এর মধ্যে তিন মামলায় সাজা হয়েছে। একটিতে তার যাবজ্জীবন দন্ড। আইনি বাধায় তারও নির্বাচনী ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত প্রায়। এ মুহূর্তে দেশে ফিরে রাজনীতিতে তারও সক্রিয় হওয়া কঠিন। অবশ্য লন্ডন থেকেই তিনি ভার্চুয়ালে দলের হাল ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এটা ঠিক, বিএনপি কঠিন সময় অতিক্রম করছে। তবুও এখনকার বিএনপি অন্য সময়ের তুলনায় বেশি শক্তিশালী। সরকারের দুঃশাসন ও নানা প্রতিকূলতায়ও বিএনপি টিকে আছে। গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। আমাদের শপথ হচ্ছে, গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ীভাবে কারামুক্ত করা। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা। তবে লন্ডন থাকলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। এখানে নেতৃত্বের কোনো সংকট নেই।’ 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার দৃশ্যমান অনুপস্থিতিতে দলে বিভেদন্ডবিভাজন বাড়ছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে আস্থার সংকটও আছে। নেতৃত্বশূন্যতা বিরাজ করছে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে। তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কোনো আশার আলো দেখতে না পেয়ে অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছেন। মাঠপর্যায়ে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডও অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। অধিকাংশ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোরও একই অবস্থা। অবশ্য দীর্ঘ দেড় বছর করোনার কারণে বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন কার্যক্রম স্থগিত ছিল। তবে এ মুহূর্তে দলের ভিতরে-বাইরে ঐক্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে এ দলটি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকায় সারা দেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটা বড় অংশ হতাশ হয়ে পড়েছে। বিএনপিও কোনো আশার আলো তাদের দেখাতে পারছে না।  মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আস্থায় এনে উজ্জীবিত করার উদ্যোগও নেই বিএনপিতে। এ কারণে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট নিয়ে প্রশ্ন তোলা বিএনপির আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের সক্ষমতা নিয়েও সংশয় রয়েছে। এ সময়ে দলটির বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্তও ছিল।

বিএনপি নেতারা দাবি করছেন, গত ১০ বছরে জেল-হেফাজতে মারা গেছেন সহস্রাধিক, আর গুম হয়েছেন ৬০১ জন নেতা-কর্মী। তারপরও বিএনপি সাংগঠনিকভাবেই টিকে আছে। দলটি ভাঙেনি। জোট বা ফ্রন্টও ভাঙেনি। উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা অন্য দলে যোগ দেননি। মামলায় জর্জরিত হয়েও বিএনপি মাঠ ছাড়েনি। সামনে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেতারা বলছেন, বেগম জিয়াকে কারামুক্ত করা। দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের জবাবদিহিমূলক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেই দাবি নিয়েই বিএনপি আবারও মাঠে নামবে। নিরপেক্ষ নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবও দেবে। বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, বিএনপির প্রাণশক্তি এখনো বেগম খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমান এই দলকে প্রতিষ্ঠিত করলেও দলকে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যান খালেদা জিয়া। জনপ্রিয় দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সব কৃতিত্বই তাঁর। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বিএনপি নিঃসন্দেহে এখন একটি সংকটকাল অতিক্রম করছে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের কোনো প্রশ্ন নেই। তিনি বাসায় থাকলেও কিন্তু তাঁকে বন্দীই বলা চলে। তিনি রাজনীতি করতে পারছেন না। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আইনের চোখে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। সব মিলিয়ে দলটি দৃশ্যমান নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে, এটা তো অস্বীকার করা যাবে না। তাছাড়া বিভিন্ন মামলা-মোকদ্দমার কারণে আগের মতো রাজপথে নামতে পারছেন না নেতা-কর্মীরা। দলটি এখন ঝিমিয়ে পড়েছে। দলে আরও তরুণ নেতৃত্ব নিয়ে আসা প্রয়োজন। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাউন্সিল করে দল ঢেলে সাজানো।’

অগোছালো সংগঠন : ক্ষমতার বাইরে থাকার ১৪ বছরে দল গোছাতে পারেনি বিএনপি। মূল দলের পাশাপাশি অঙ্গসংগঠনগুলোও বেহাল। ১১টি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৯টিই মেয়াদোত্তীর্ণ। সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুনর্গঠন নিয়ে বেকায়দায় বিএনপি। বিশেষ করে আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বেশি জটিলতায় দলটির হাইকমান্ড। নির্ধারিত সময়ে থানা-উপজেলার কমিটি করতে পারেনি এসব জেলার সাংগঠনিক ইউনিট কমিটি। আবার যারা কাজ করছেন তাদের অনেকের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। কেন্দ্র থেকে এসব কার্যক্রমের নজরদারির ব্যবস্থা না থাকায় অনেক জায়গায় ‘পকেট কমিটি’ গঠন হচ্ছে বলে বিএনপির দফতরে অভিযোগের পাহাড় জমা পড়েছে। এতে দলের মধ্যে আরও কোন্দল বাড়ছে। দলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের মার্চে। গঠনতন্ত্রের তিন বছর পর কাউন্সিল হওয়ার কথা থাকলেও সেই সময় পার হয়ে গেছে। সারা দেশে বিএনপির ৮১টি সাংগঠনিক কমিটির মধ্যে মাত্র ৩৫টিতে আহবায়ক কমিটি আছে। সেই আহ্বায়ক কমিটিরও মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, সাংগঠনিক জেলার সাংগঠনিক প্রতিবেদন নেওয়ার জন্য ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলা বাদে ৭৮ সাংগঠনিক জেলার সঙ্গে এ বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর মহানগর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলার অধীনে থাকা থানা-উপজেলাসহ সব পর্যায়ের কমিটি গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রের এসব নির্দেশনা কাগুজে-কলমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে নিজেদের পাল্লা ভারী করতে কাজ করছেন অনেক জেলার নেতারা। অনেক জেলায় একটি পক্ষকে খুশি করতে অন্য পক্ষের যোগ্যদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। এরকম একটি অভিযোগ জমা পড়েছে কেন্দ্রীয় দফতরে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, থানা-উপজেলা-পৌরসভাসহ সব পর্যায়ের কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব কমিটি ত্যাগী, পরীক্ষিতদের দিয়ে করতে হবে। বিশেষ করে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যারা মাঠে ছিলেন, যারা দলীয় কর্মসূচিতে নিয়মিত, ভালো সংগঠক  তাদের দিয়ে কমিটি করতে হবে। পঞ্চগড়, সৈয়দপুর, বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, জয়পুরহাট, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, ময়মনসিংহ মহানগর, ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ, নেত্রকোনা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও উত্তর সাংগঠনিক জেলার শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের তিন মাসের মেয়াদ দিলেও তা বহু আগেই শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। দলের কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানান, থানা-উপজেলা-ইউনিয়নসহ সব পর্যায়ের কমিটি গঠনের জন্য যেসব নির্দেশনা রয়েছে তা ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে দলের জন্য তা ‘মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হতো। অথচ নেতারা পদ নিয়ে আর কাজ করতে চান না। তিন মাসের মেয়াদ দিলেও অনেক জেলা দুই বছর পার করেছে। হামলা-মামলা, করোনাসহ নানা অজুহাতে কমিটির মেয়াদ বাড়িয়েছে। তারপরও এখন পর্যন্ত কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে পারেনি।

৪৩ বছরে বিএনপির পথচলা : ১৯৭৮ সালে রমনা গ্রিনের সবুজ চত্বরে জিয়াউর রহমান বিএনপির পতাকা উড়ান। শুরু হয় পথচলা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষকে একমঞ্চে এনে ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’ গঠন করেন তিনি। এই দীর্ঘ পথে বিএনপিকে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। দলটি বিভক্তির চেষ্টাও হয়েছে কয়েকবার। সেনাপ্রধানের পর রাষ্ট্রপতি হয়ে জিয়াউর রহমান প্রথমে ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম গঠন করেন। ১৯৭৭ সালে গঠিত জাগদলের আহ্বায়ক হয়েছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট গঠন করে তার সমর্থন নিয়ে জিয়া ওই বছর প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

এরপর জাগদল, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নেতৃত্বাধীন ন্যাপ, আবদুল হালিম-আকবর হোসেনের নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস পার্টি, আবদুল মতিনের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টি ও শাহ আজিজুর রহমানের মুসলিম লীগকে নিয়ে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির যাত্রা শুরু হয়। জিয়ার নেতৃত্বে প্রথম ৩১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে ছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার, মশিউর রহমান যাদু মিয়া, শাহ আজিজুর রহমান, ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, এস এ বারী এটি, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল হালিম, জামাল উদ্দিন আহমেদ, মেজর  জেনারেল (অব.) মাজেদ-উল হক, ক্যাপ্টেন (অব.) নূরুল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার আবুল হাসনাত, এম সাইফুর রহমান, মাওলানা আবদুল মতিন, কর্নেল (অব.) আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন, আতাউদ্দিন খান প্রমুখ।

১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলা হয়। জিয়া চেয়ারম্যান হন। ১১ সদস্যের স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ১৯৮১ সালে জিয়ার মৃত্যুর পর বিচারপতি সাত্তার চেয়ারম্যান পদে আসেন, ভাইস চেয়ারম্যান হন খালেদা জিয়া। বছরখানেক পর খালেদা জিয়া চেয়ারম্যান হন।

এইচ এম এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানতে হয় বিএনপিকে। এরপর নির্বাচনে হেরে বিরোধী দলের আসনে বসে বিএনপি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফেরে দলটি। ২০০৮ সালের ভোটে অংশ নিয়ে ধানের শীষের ভরাডুবির পর ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোট বর্জন করে বিএনপি। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিলেও সেখানেও ভরাডুবি হয় তাদের। সংসদে তারা সাতটি আসন পায়।

কর্মসূচি : ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি। এ উপলক্ষে আজ সকাল ৬টায় বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১১টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নেতা-কর্মীরা জিয়ার কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের সহযোগিতায় হেলথ ক্যাম্প এবং করোনা রোগীদের জন্য ওষুধ সামগ্রী বিতরণ করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সকাল ১০টায় আলোচনা সভা করবে বিএনপি। সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসহ বিভিন্ন ইউনিটে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশের নেতা, কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর