বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শুনতে বিব্রত হন সাত বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা শুনতে বিব্রত হন সাত বিচারপতি

আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের পক্ষে কথা বলার জন্য প্রায় ১৩ বছর জেল খেটেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। অথচ এ দেশের মাটিতে, এ দেশেরই কিছু কুলাঙ্গার তাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। আরও আশ্চর্যজনক বিষয়- এ হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্সের জন্য হাই কোর্টে গেলে সাতজন বিচারপতি বিব্রতবোধ করে এ মামলার শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা ও যুগ্ম  সচিব উম্মে কুলসুম, ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. গোলাম কিবরিয়া। আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান যদি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতেন তাহলে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান তা না করে খুনিদের বিদেশি মিশনে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, এরশাদ খুনিদের ফ্রিডম পার্টি গঠনের অনুমতি দেন।

খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিনা ভোটে নির্বাচন করে বঙ্গবন্ধুর খুনিকে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসান। জনগণের মুখে চপেটাঘাত করার জন্য এসব করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর