শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকা-গাজীপুর সড়কে এবারই ভোগান্তির শেষ বর্ষাকাল : কাদের

গাজীপুর ও টঙ্গী প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিআরটি প্রকল্পের জন্য গাজীপুর ও উত্তরবঙ্গের মানুষ অনেক কষ্ট করেছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রাস্তায় কষ্ট করেছেন। আশা করি, আগামী বর্ষাকালে সড়কে এ ভোগান্তি আর হবে না। এ বর্ষাকালটাই মানুষের ভোগান্তির শেষ বর্ষাকাল। গতকাল সকালে গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগ আলী এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের চলমান কাজ পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।    

ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলসহ অন্যান্য মেগা  প্রজেক্টের সঙ্গে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তি থাকবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ‘বিআরটি’ প্রকল্পের আওতায় ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক, ছয়টি ফ্লাইওভার ও ২৫টি বিআরটি স্টেশনসহ মোট ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার করিডোর নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিকে ২০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাউজ বিল্ডিং থেকে চেরাগআলী পর্যন্ত ৪.৫ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ সেতু বিভাগ বাস্তবায়ন করছে, বাকি অংশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ করছে। এ করিডোরে দুটি সংরক্ষিত বিআরটি লেন, চারটি মিক্সড ট্রাফিক লেন, দুটি অযান্ত্রিক লেন, পথচারীদের জন্য ফুটপাথের ব্যবস্থা থাকবে। বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ২৭ ভাগ বলে জানান তিনি। ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের অবস্থা তুলে ধরে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এ মহাসড়কটি অত্যন্ত খারাপ, যে কারণে জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, ভোগান্তির শেষ বর্ষাকাল এটাই, তাই বর্ষাকাল শেষ হলেই জনগণের ভোগান্তির অবসান হবে। পরে তিনি প্রকল্প অফিসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব আবু বক্কর ছিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুরসহ কর্মকর্তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর