মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রয়োজন বিবেচনায় চাই যুগোপযোগী সিলেবাস

অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ

প্রয়োজন বিবেচনায় চাই যুগোপযোগী সিলেবাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, আমাদের শিক্ষার সিলেবাস প্রয়োজন বিবেচনায় যুগোপযোগী করতে হবে। শিক্ষার কারিকুলাম একটা চলমান প্রক্রিয়া। বিশ্ব ও সমাজের চাহিদা বিবেচনায় সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। তবে সেটি পুরোপুরি না হলেও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় হচ্ছে। আমাদের শিক্ষিত একটি ছেলে বা মেয়ে যাতে সহজেই চাকরিজীবনে প্রবেশ করতে পারে এমন বিষয়গুলো সামনে রেখেই অগ্রসর হতে হবে। অবশ্য আমরা সেইভাবে এগোচ্ছিও। আমি মনে করি এখনকার শিক্ষার সিলেবাসগুলো আগের চেয়ে মোটামুটিভাবে কর্মমুখী বলা চলে। তবে এটাকে সময়ের চাহিদা অনুযায়ী আরও যুগোপযোগী করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে মুঠোফোনে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন প্রবীণ এই অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই উপাচার্য বলেন, দেশে এখন ভোকেশনাল বা টেকনিক্যাল পড়াশোনা বাড়ছে। অনেক ভোকেশনাল স্কুল বা টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপিত হচ্ছে। কম্পিউটার সায়েন্স বা আইটি সেক্টরেও এখন পড়াশোনার পরিধি অনেক বেড়েছে। কর্মমুখী শিক্ষায় এগুলো বড় ধরনের সুযোগ। সময়ের চাহিদা বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মাটি, পানি ও পরিবেশ নিয়েও পড়াশোনা হচ্ছে। এসবের ওপর দক্ষতায় যেমন চাকরির বাজারে সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি দেশ ও জনগণের কল্যাণে সেবাও হচ্ছে। অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, এভাবে প্রতিনিয়ত সময়ের চাহিদায় সিলেবাসগুলো প্রণয়ন করা হচ্ছে। এখন টেকনিক্যাল বা আইটি সেক্টরে প্রচুর কাজের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এসব নিয়ে পড়াশোনারও সুযোগ পাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। এ ক্ষেত্রে সমাজকে যারা পরিচালিত করছে তাদের অনেক দায়িত্ব। শিক্ষকদের দায়িত্বও কম নয়। মনে রাখতে হবে, প্রাইভেট সেক্টরগুলোও বাস্তবমুখী শিক্ষাব্যবস্থা সামনে রেখেই নতুনভাবে এগোচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সময়ের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগ খুলে পড়াশোনা করাচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ/এমবিএ, পাবলিক হেলথ, স্থাপত্য প্রকৌশল, কম্পিউটার সায়েন্সসহ নানা ক্ষেত্রে পড়াশোনা করানো হচ্ছে। পাবলিক সেক্টরের সঙ্গে প্রাইভেট সেক্টর ব্যাপকভাবে এগিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমও ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। সবাই নিজ নিজ ভূমিকা পালন করলে সমাজ আরও এগিয়ে যাবে। এস এম এ ফায়েজ বলেন, আমাদের সমাজের বাস্তবতা সামনে রেখেই শিক্ষার কারিকুলাম যুগোপযোগী করতে হবে। আজ যে সিলেবাস করা হবে কাল তা যথেষ্ট হবে না। এরপর তা আবারও সময়োপযোগী করা লাগতে পারে। এভাবেই সময়ের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে। প্রয়োজন বিবেচনায় রেখেই এসব করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর