মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পরিস্থিতি টের পেয়েই ভারতে পালান সোহেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতে গ্রেফতার রাজধানীর বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি-মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, সোহেল রানা ২ সেপ্টেম্বর থেকে বনানী থানায় অনুপস্থিত। কাউকে কিছু না জানিয়েই তিনি থানায় অনুপস্থিত। ওই দিন ঢাকার একটি আদালতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে এক ভুক্তোভোগীর করা মামলায় তাকেও আসামি করা হয়। এরপরই তিনি পালিয়ে যান। ৪ সেপ্টেম্বর তিনি ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে গ্রেফতার হন। তিনি ভারতে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন।

এদিকে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার তারা সোহেল রানার থানায় অনুপস্থিতির বিষয়টি ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সকে জানান। এ বিষয়ে রিপোর্টও দেন।

জানা গেছে, ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলা হয়। আসামিরা হলেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্লাহ, বীথি আক্তার, কাউসার আহমেদ এবং পুলিশের বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা। শুরু থেকেই ই-অরেঞ্জের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন পরিদর্শক সোহেল রানা। তবে ই-অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে তার নাম দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময় আড়াই কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

সূত্র জানায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ২ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিলেন সোহেল রানা। এর জন্য দালালকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যান তিনি। চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্তে সোহেল রানাকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ছিটমহল দিয়ে তিনি দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেন। তবে গ্রেফতারের পর সোহেল রানা বিএসএফকে জানিয়েছিলেন, পুলিশ বিভাগ থেকে সাত দিনের ছুটি নিয়ে তিনি সীমান্তের দিকে রওনা হন। তার গন্তব্য ছিল নেপালের কাঠমান্ডু। সেখানে তার এক বোন থাকেন। ভারতের শিলিগুড়িতে এসে তাকে নেপালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল বোনের স্বামীর। গ্রেফতারের সময় সোহেল রানার কাছ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড ও ব্রিটেনের ব্যাংকের কার্ড পাওয়া গেছে। তার পাসপোর্টে থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীনসহ বিভিন্ন দেশের ভিসা ছিল।

সর্বশেষ খবর