প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর এক অনুষ্ঠানে আবারও হাতাহাতি ও মারামারিতে লিপ্ত হলো জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
ঝগড়ার কথা শুনে অঙ্গসংগঠনটির নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ার করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, পত্র-পত্রিকায় দেখি, আপনারা নিজেদের মধ্যে কোন্দল করছেন, ঝগড়া করছেন। আমি এখানে আসার আগেও সে ধরনের একটা ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের বিশৃঙ্খলা আমরা সহ্য করব না। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
সংগঠনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় সভাকক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আলোচনা সভা ছিল। সেই সভার শুরুতেই বসাকে কেন্দ্র করে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়ায় দুই গ্রুপ। আলোচনা সভা ১০টার শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জায়গা দখলে নিতে ৯টার আগেই এক গ্রুপ চলে আসে। কিন্তু ৯টার আগে হল না খোলায় এক পক্ষ হলের বাইরে অবস্থান করে। পরে ৯টার পর হল খুলে দেওয়া হলে সামনের সারিতে বসা নিয়ে দুই পক্ষই ঝগড়া শুরু করে। কেউ কেউ অতিথিদের আসনেও বসে পড়েন। একপর্যায়ে তারা চিল্লাচিল্লি, হাতাহাতি ও মারামারি শুরু করে। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে অনুষ্ঠান থেকে বের করে দিতেও চায়। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিষয়টি ধরে সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখন চেয়ার বা পদ দখল নয়, এখন আমাদের কাজ হলো রাজপথ দখল করা। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া-ফ্যাসাদ করে শক্তি দৃশ্যমান করা ভালো লক্ষণ না। বরং সব শক্তিকে একসঙ্গে করে যার বিরুদ্ধে লড়াই তাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগান, তাতে কাজ হবে।মহিলা দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, মহিলা দল আমাদের একটা প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল। প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দলটা তৈরি করেছিলেন এ উপলব্ধির মধ্য দিয়ে যে, এ দেশের অর্ধেক নারী। সেই মহিলা দলে যদি আপনারা শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে, পারস্পরিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী না করেন তাহলে কিন্তু আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন ব্যাহত হবে। মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ। মহিলা দলের নেত্রী নেওয়াজ হালিমা আরলি, হেলেন জেরিন খান, ইয়াসমীন আরা হক, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ সভায় বক্তব্য রাখেন।
