রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যার স্বীকারোক্তি যুক্তরাষ্ট্রের

আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা নিষিদ্ধ করল তালেবান

প্রতিদিন ডেস্ক

আফগানিস্তানে গত মাসে মার্কিন সামরিক বাহিনী যে ড্রোন হামলা চালিয়েছিল তাতে ১০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে পেন্টাগন। নিহতের মধ্যে সাতটি শিশু ছিল। ড্রোন হামলার পর ওয়াশিংটন দাবি করেছিল, হামলায় যারা মারা গেছে তারা সবাই সন্ত্রাসী। এদিকে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলকারী তালেবানরা মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা নিষিদ্ধ করে একটি ফরমান জারি করেছে। সূত্র : আলজাজিরা, পার্স টুডে, বিবিসি, রয়টার্স।

খবরে বলা হয়, ২৯ আগস্ট মার্কিন বাহিনী কাবুল বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালায়। সে সময় পেন্টাগন দাবি করেছিল, কাবুল বিমানবন্দরে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের জন্য বিরাট ঝুঁকি সৃষ্টি করেছিল উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ। এজন্য দায়েশ সন্ত্রাসীদের ওপর ওই হামলা চালানো হয়। মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি বলেছিলেন, ড্রোন হামলার বিষয়টি ছিল মার্কিন বাহিনীর জন্য বৈধ অধিকার। কিন্তু শুক্রবার মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি পেন্টাগনে ঘোষণা করেন, সামরিক বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে এসেছে গত মাসের ড্রোন হামলায় নিহত সবাই বেসামরিক নাগরিক।

মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা নিষিদ্ধ : আফগানিস্তানের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খুলেছে গতকাল। তবে ছেলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পারলেও মাধ্যমিক স্তরের মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে তালেবান সরকার। এ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম চালু হচ্ছে। তাতে শুধু পুরুষ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

এ বিষয়ে আফগানিস্তান অ্যানালিটিস নেটওয়ার্কের সহপরিচালক কেট ক্লার্ক বলেন, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর নারীদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ দেওয়ার কথা বললেও তা থেকে সরে আসছে। কোনো প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়ন করছে না গোষ্ঠীটি।

নারী মন্ত্রণালয় এখনপাপ পুণ্য মন্ত্রণালয় : আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে দেশটির নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাইনবোর্ড বদলে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার সেখানে ‘পাপ ও পুণ্য মন্ত্রণালয়’-এর নামে নতুন সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, ভবনে তাদের প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নামের সাইনবোর্ডের বদলে এখন সেখানে দারি ও আরবি ভাষায় লেখা হয়েছে, ‘প্রার্থনা, নির্দেশনা এবং পুণ্যের প্রচার ও পাপ ঠেকানো মন্ত্রণালয়’। এক নারী জানান, নারী মন্ত্রণালয়ের নারী কর্মীরা কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজে ফেরার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার ভবনটির গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। নারী মন্ত্রণালয়ের কাজ করা আরেক নারী জানান, তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। এখন মন্ত্রণালয়ই নেই, আফগান নারীদের কী হবে? উল্লেখ্য, এর আগে এক সিনিয়র তালেবান বলেছিলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পুরুষের সঙ্গে নারীদের কাজের অনুমতি দেওয়া হবে না।

সর্বশেষ খবর