সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কাউন্সিলর ও রেজিস্ট্রার দম্পতিকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহারকে সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিস দিয়েছে দুদক। শফিকুল ইসলাম সেন্টু ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।

একই অভিযোগে গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খুজিস্তা আক্তার বানুকে তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিস দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির জনসংযোগ শাখা থেকে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র জানায়, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম সেন্টু এবং গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রার অহিদুল ইসলামকে স্বনামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী নোটিস পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই ধরনের নোটিস দেওয়া হয়েছে তাদের স্ত্রীদের। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে বা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে আইন মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কমিশন। শফিকুল ইসলাম সেন্টুর নামে-বেনামে থাকা সব সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত অনুবিভাগ-২-এর সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুদক সূত্র জানায়, মোহাম্মদপুরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেন্টুর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতা, ফুটপাথ ও রাস্তা দখল করে দোকান বসিয়ে বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও জমি দখলের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব কমিটির কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে জুয়ার আসর বসানো, বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনোয় বিনিয়োগের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ক্যাসিনো কারবারে অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল।

দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে, ২০১৬ সালে প্রথম ক্যাসিনোর অত্যাধুনিক যন্ত্র নিয়ে এসে ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে ক্যাসিনো চালু করেন সেন্টু। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিকবার তিনি গ্রেফতার হন। ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে চাঁদাবাজির মামলায় শুক্রাবাদ এলাকা থেকে র‌্যাব তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে ২০০২ সালের ১৪ মার্চ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেছিলেন। এ সময় তার দখল থেকে বিভিন্ন ধরনের সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১ হাজার ২৯৬ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর