বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কমায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

সঞ্চয়পত্রে মুনাফা কমায় কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না

সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার কমানোর ফলে প্রান্তিক বিনিয়োগকারীদের কেউই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সঞ্চয়পত্র নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই সুদের হার কমানো হয়েছে। আমরা রেটটি রেখেছিলাম যারা পেনশনার আছেন এবং যারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তাদের জন্য। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম এখানে ইন্টারেস্ট তুলনামূলক একটু বেশি। এর ফলে সবাই এখানে চলে আসছে। এতে আমাদের অর্থনীতির অন্যান্য চালিকাশক্তি অচল হয়ে যাচ্ছে। এখানে ইন্টারেস্ট রেট কমানোর কারণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র ডিপোজিট যারা রাখেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। প্রান্তিক বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ডিপোজিটে সুদের হার কমানো হয়নি। সরকার সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহ করছে কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, নিরুৎসাহ করবে কেন? যাদের উৎসাহিত করা দরকার তাদের উৎসাহিত করতে চাই। এখন যদি এক-দেড় কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র নিয়ে আসে তা কি আমরা গ্রহণ করব? এটা তো আমরা চাইনি। আমরা চেয়েছি ১ লাখ, ২ লাখ, ৫ লাখ, ১৫ লাখ, ২৫ লাখ, ৩০ লাখ টাকার ডিপোজিট। আবার যদি বলেন ক্ষুদ্র ডিপোজিট বেশি রাখেন, সেটাও মানি আমরা। তবে এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তিনি বলেন, ১৫ লাখের ওপরে যেগুলো আছে সেগুলো কিছুটা কমেছে। এটি চলমান প্রক্রিয়া, কখনো বাড়বে, কখনো কমবে। প্রয়োজনে আবার বাড়তেও পারে। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ রয়েছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্কিমের সুদের হার কমিয়ে আনে। তবে ১৫ লাখ টাকার মধ্যে যেসব বিনিয়োগ রয়েছে এ রকম সব স্কিমে আগের সুদই বহাল রেখেছে সরকার।

প্রসঙ্গ ই-কমার্স : ই-কমার্স নিয়ে একাধিক জালিয়াতির ঘটনা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান করার সময় কারও না কারও ছাড়পত্র নিয়েই করা হচ্ছে। এখানে ছাড়পত্র দিচ্ছে কমার্স মিনিস্ট্রি। তাদের প্রাইমারিলি দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের সঙ্গে অন্য যাদের সম্পৃক্ততা আছে তাদের সবারই আমি মনে করি দায়িত্ব নেওয়া উচিত। তবে এখন মূলত কাজটি আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা আছে, তারা এসব বিষয় নিয়ে আসে আমাদের এখানে। আইটির বিষয় আছে, সেখানে আইসিটি মিনিস্ট্রি আছে, তারাও দায়িত্ব নেবে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো মাঝেমধ্যে তৈরি করে মানুষকে ঠকায়। এটা কিন্তু চলে আসছে। আগে যেভাবে হতো, সেটি এখন ভিন্ন আঙ্গিকে আসছে। আগে ম্যানুয়ালি করত, এখন ইলেকট্রিক্যালি করছে। ডিজিটালাইজড ওয়েতে করা হচ্ছে। মানুষ বিশ্বাস করে এখন, কত দিকে নিয়ন্ত্রণ করবে? সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে অবশ্যই। ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বিভিন্ন অফিস ঢাকার বাইরেও করা হবে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকার ওপর চাপ কমাতে বাইরে অফিস করা হবে কি না তা অন্য মন্ত্রণালয়গুলো বলতে পারবে। আমরা বলেছি ঢাকার মধ্যে যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকবে পর্যায়ক্রমে সে সুযোগ-সুবিধা আমাদের উপজেলা-জেলা লেভেলে নিয়ে যাব। সেভাবেই কাজ হচ্ছে। সেজন্য বারবার বলে আসছি, শহর আর গ্রামের যে ফারাক তা থাকবে না। ক্রমান্বয়ে এ ফারাক কমে আসবে।

প্রসঙ্গ ভ্যাকসিন : ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকালের বৈঠকে এ প্রসঙ্গে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা শুধু সিরিঞ্জ কেনার একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছি। জেএমআই নামের একটি দেশি কোম্পানি এসব সিরিঞ্জ সরবরাহ করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর