বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
বিএনপির বৈঠকে মাঠ নেতারা

নব্বইর চেতনায় আন্দোলন সফল হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা ও চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন নব্বইর চেতনায় করলে সফলতা আসবে না বলে মনে করেন বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতারা। তারা বলেন, মনে রাখতে হবে ’৯০ আর ’২১ এক নয়। তখনকার প্রশাসন আর বর্তমান প্রশাসন এক নয়। আন্দোলনে সফল করতে হলে পরিকল্পনা    মাফিক রাজপথে কর্মসূচি করতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। ঘরে বসে কমিটি করলে হবে না; নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রতিটি ইউনিট কমিটি করতে হবে। গতকাল গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দ্বিতীয় দফার সিরিজ বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে নেতারা এই মতামত দেন। বিকাল ৪টা থেকে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে যুক্তরাজ্য থেকে স্কাইপির মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্ব করেন। মূলমঞ্চে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এই বৈঠকে সাংগঠনিক বিভাগ চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লার অঞ্চলের বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি মোট ১২৯ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নেন ৮৫ জন। মাগরিবের নামাজের বিরতির আগ পর্যন্ত ২০ জন নেতা বক্তব্য দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এতে বেশির ভাগ নেতাই আন্দোলনের পক্ষে মতামত দিয়ে বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। দেশের সরকার বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়েই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করেই নির্বাচনে যেতে হবে। সূত্র মতে, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পঞ্চগড় জেলা শাখার সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেছেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ’৯০-এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলন আর ২০২১ সালে শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলন এক নয়। এখনকার প্রশাসন ও ’৯০-এর প্রশাসন এক নয়। এই সরকার রাষ্ট্রের সবকিছু দলীয়করণ করেছে। ফলে নব্বইর চেতনা নিয়ে আন্দোলন করলে হবে না। আন্দোলন করতে হবে পরিকল্পনা মাফিক। বৈঠকে অংশ নেন- আবদুল খালেক, রফিক শিকদার, মঞ্জুরুল আহসান, জাহাঙ্গীর আলম, মমিনুল হক, এস এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী, মোস্তফা খান সফরী, মাহবুব ইসলাম মাহবুব, কাজী রফিক, শেখ মো. শামীম, খন্দকার মারুফ হোসেন, একরামুল হক বিপ্লব, আলাউদ্দিন হেনা, জিয়াউদ্দিন, সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির, জিল্লুর রহমান, সিরাজুল হক, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সুলতান মাহমুদ বাবু, মাহমুদুল হক রুবেল, ইকবাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম ইলালী, লায়লা বেগম, শামসুজ্জামান মেহেদী, আরিফা জেসমিন, রাবেয়া আলী, ডা. আনোয়ার হোসেন, মোতাহার হোসেন তালুকদার, মো. ইকবাল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবু কাহের শামীম, শাহ মোস্তফা, মজিবুর রহমান, হাসনা আক্তার সানু, গোলাম হায়দার, কাজী মফিজুর রহমান, ফোরকান ই আলম, সাচিং প্রæ জেরী, মামুনুর রশিদ মামুন, হুম্মাম কাদের, ডা. মাজহারুল ইসলাম, সুশীল বড়ুয়া, বজলুুল করিম চৌধুরী আবেদ, মশিউর রহমান, ডা. শাহাদাত হোসেন, শাহ আলম, আবু সুফিয়ান, ম্যামাচিং, মাহফুজল্লাহ ফরিদ, মতর্‚জা চৌধুরী তুলা, এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, আখতারুজ্জামান মিয়া, বিলকিস ইসলাম, সাইফুর রহমান রানা, আমিনুল ইসলাম, মীর্জা ফয়সাল, হাসান রাজিব প্রধান, জহিরুল বাচ্চু, মো. শামসুজ্জামান সাবু, গফুর সরকার প্রমুখ। শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সাহলে প্রিন্স। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম। সার্বিকভাবে সহযোগিতা ছিলেন দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, সহ-দফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, বেলাল আহমেদ। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।

সর্বশেষ খবর