বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে ইসি নিয়োগ হওয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে ইসি নিয়োগ হওয়া উচিত

রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি নিয়োগ হওয়া উচিত বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বিগত সময়ের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্য হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। গতকাল কমিশন সভা শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন সিইসি। বর্তমান ইসি আস্থা সংকটে নেই বলে দাবি করেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসি মোটেই অনাস্থার জায়গা নয়। জনগণের আস্থা নেই এ কথা বলা যাবে না, জনগণ তো বলেনি আস্থা নেই। নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইনি উদ্যোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশনের মতামত এখানে থাকে না, এখানে ইসির কাছে মতামত চায়ও না। চাইলে তখন কমিশন বসে আমরা দেখব। সাধারণত কমিশনের কাছে মতামত চাওয়া হয় না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইসি নিয়োগের রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের বিষয়টির ওপর জোর দেন তিনি। সিইসি বলেন, পরবর্তী ইসি গঠন করার ব্যাপারে রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। সেটা আমি সমর্থন করি। তারা  সমর্থনযোগ্য নির্বাচন কমিশন যেন হয়। ঐকমত্যের বিষয়টি রাষ্ট্রপতি করবেন বলে উল্লেখ করেন সিইসি। ঐকমত্য কীভাবে প্রতিষ্ঠা হবে? জানতে চাইলে সিইসি বলেন, সেটা মহামান্য রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। যেমন গতবার মহামান্য রাষ্ট্রপতি সব দলের নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন। তবে সেটা রাষ্ট্রপতির বিষয়। কী করবেন সেটা ওই স্টেজের বিষয়, আমাদের করণীয় কিছু নেই। ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইসির কোনো ভূমিকা থাকে না বলে উল্লেখ করেন তিনি। নতুন আইনের বিষয়ে সিইসি বলেন, আইন তো তৈরি করে পার্লামেন্ট। এটা আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হয়। তাদের কাছ থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত আসেনি আইন করতে হবে কি হবে না। তারা বলে যে, সাংবিধানিক যে ব্যবস্থা রয়েছে সে অনুযায়ী হবে। বর্তমান ইসি আস্থা সংকটে নেই বলে দাবি করেন কে এম নূরুল হুদা। এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইসি মোটেই অনাস্থার জায়গা নয়। জনগণের আস্থা নেই এ কথা বলা যাবে না, জনগণ তো বলেনি আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলের লোকেরা যেটা বলেন, অনেক সময় তারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করে তারা বলে জনগণের আস্থা নেই। যদি আস্থা না থাকে যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে উপচে পড়া ভোটার থাকে কীভাবে, লাইন থাকে, ৬০-৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। এটা আস্থার জায়গা। জনগণের আস্থা অবশ্যই আছে, জনগণ ঠিকই ভোট দিতে যায়থ- উল্লেখ করেন তিনি।

রাশিয়ার মতো ভোট বাংলাদেশে আপাতত সম্ভব নয় : রাশিয়ার ভোট পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, সে দেশের ডিজিটাল সিস্টেম অত্যন্ত উঁচুমানের। রাশিয়ার মতো ভোট বাংলাদেশে আপাতত সম্ভব নয়। গতকাল নির্বাচন কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ১৭ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর রাশিয়ায় ভোট হয়। এ নির্বাচন পযবেক্ষণে রাশিয়া যান সিইসি। তিনি জানান, রাশিয়ার নির্বাচন ব্যবস্থা ভালো। নির্বাচন কেন্দ্রের বাইরে এখানে প্রার্থী বা তার সমর্থকরা প্রচারণা চালান রাশিয়ায় সেই সুযোগ নেই। নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা মূলত অনলাইন ভিত্তিক বেশি হয়। ডিজিটাল সিস্টেম অত্যন্ত উঁচুমানের। আমাদের দেশে কর্মীরা যেমন ঘরে ঘরে ভোটারদের কাছে যায়, অথবা লিফলেট দেয়- এই জাতীয় কালচার সেখানে দেখিনি। সিইসি জানান, রাশিয়া ভোটার ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজ করেছে। কেন্দ্রগুলো সিসিটিভির আওতায় নিয়ে এসেছে। তারা কেন্দ্রীয়ভাবে সব দেখতে পারে। প্রতি মিনিটে তা মনিটর করতে পারে। সিইসি জানান, রাশিয়ার মতো ভোট বাংলাদেশে আপাতত সম্ভব নয়। ওই রকম ভোট করতে বাংলাদেশের কত বছর লাগবে তাও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

সর্বশেষ খবর