বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
টিআইবির গবেষণা

মাধ্যমিকের কাজে পদে পদে ঘুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে মাধ্যমিক স্তরে ভয়াবহ দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করে গতকাল বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতা ও জবাবদিহির ঘাটতি উদ্বেগজনক। এসবের বিভিন্ন কাজের সেবা নিতে আসা শিক্ষকদের পদে পদে ঘুষ দিতে হয়। এ ঘুষের পরিমাণ ৫ হাজার থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। এ অনৈতিক অর্থ আদায় করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, গভর্নিং বডি, প্রধান শিক্ষক, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের (ডিআইএ) কর্মকর্তা, শিক্ষা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টরা। ‘মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা উত্তরণে ২০ দফা সুপারিশ দিয়েছে সংস্থাটি।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, গবেষণা ও পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা ও পলিসি বিভাগের সাবেক ম্যানেজার তাসলিমা আক্তার হেনা। প্রতিবেদনে বলা হয়- বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএমসি/গভর্নিং বডি কর্তৃক নিয়োগ, পাঠদান ও একাডেমিক স্বীকৃতির অনুমোদনের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব, স্বজনপ্রীতি ও নিয়মবহিভর্‚ত অর্থ আদায়ের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থী নিয়োগের পাশাপাশি নিবন্ধন সনদ, কম্পিউটার ও অন্যান্য একাডেমিক সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদে, বিভিন্ন পর্যায়ে ৫ হাজার থেকে শুরু ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ হাজার ৫৭৭ জন শিক্ষক নিবন্ধন সনদ, কম্পিউটার ও অন্যান্য একাডেমিক সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি হয়ে থাকে।

২০১৯ সালের মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের পর ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত পরোক্ষ উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

সর্বশেষ খবর