বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

শাহজালালে করোনা পরীক্ষায় সম্মতি

আমিরাতে যেতে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার জন্য স্থাপন করা ছয়টি আরটি-পিসিআর ল্যাবকে অনুমোদন দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর ফলে বাংলাদেশের যাত্রীদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহ যেতে আর কোনো বাধা থাকল না। গতকাল সকালে ঢাকায় অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।  চিঠিতে অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। বেবিচক-সূত্র জানান, চিঠিতে বলা হয়েছে- সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিভিল অ্যাভিয়েশন আপনাদের স্থাপিত ল্যাবগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রুটগুলোয় নিয়মিত ফ্লাইট চালুর অনুমোদন দেওয়া হলো। অনুমোদনের সিদ্ধান্ত এদিন দুপুর ১২টা থেকে কার্যকর হয়। চিঠিতে একমাত্র শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে- একজন যাত্রী তার যাত্রা শুরুর ছয় ঘণ্টা আগে এ ল্যাবগুলো থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হতে পারবেন। বিমানবন্দর-সূত্র জানান, অনুমোদন পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো- গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড, স্টেমজ হেলথকেয়ার বিডি লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক। ল্যাবগুলোয় জনপ্রতি পরীক্ষা ফি ১ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কারিগরি কমিটি। এর আগে সোমবার রাতে এ বুথগুলোয় পরীক্ষা করিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে পরীক্ষামূলকভাবে দুবাই যায় যাত্রীদের একটি দল। বর্তমানে করোনার কারণে ইউএইর সঙ্গে নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বেবিচকের অনুমতি সাপেক্ষে এমিরেটস এয়ারলাইনস স্বল্পসংখ্যক বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে গত আগস্টে শর্ত দেওয়া হয়, দেশটিতে যেতে হলে যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে লাগবে বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ। কিন্তু বাংলাদেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই এমন ব্যবস্থা না থাকায় কর্মস্থলে যেতে বিপাকে পড়েন প্রবাসীরা। এর মধ্যে কারও কারও ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। তাই দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোয় দ্রুত আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানান প্রবাসীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ছয়টি ল্যাবে ১২টি মেশিন বসানো হয়। এ ল্যাবগুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। এখানে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষার জন্য র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব এবং সাধারণ পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব দুটিই কাজ করবে। তবে র‌্যাপিড পিসিআর টেস্ট এখনই করা সম্ভব নয়। কারণ এ মেশিন এখনো দেশে এসে পৌঁছায়নি। তবে মেশিনটি আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে মঙ্গলবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন, আরব আমিরাতে প্রবাসীদের প্রবেশের ক্ষেত্রে আরটি-পিসিআর ইস্যুতে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা দু-এক দিনের মধ্যেই সমাধান হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর