শিরোনাম
শুক্রবার, ১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
২ হাজার কোটি টাকা পাচার

দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২ হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন।

অভিযোগপত্রের অন্তর্ভুক্ত অপর আট আসামি হলেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, শহর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিবুর রহমান ফারহান, খোন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এ এইচ এম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ডেভিড, মুহাম্মদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম। ১০ আসামির মধ্যে রুবেল, বরকত, লেভী ও ফারহান কারাগারে রয়েছেন। অপর ছয় আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। আগামী ১৩ অক্টোবর গ্রেফতার-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল। অভিযোগপত্রে ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম, মো. জাফর ইকবাল, ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন ও গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনুকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৩ মার্চ মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি) উত্তম কুমার সাহা প্রতিবেদন সিএমএম আদালতে জমা দেন। ২ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে গত বছর ২৬ জুন বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ। মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দফতরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস, ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন এ দুই ভাই। অভিযোগে আরও বলা হয়, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন বরকত-রুবেল। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালে এক আইনজীবী হত্যা মামলারও আসামি ছিলেন তারা। এজাহারে আরও বলা হয়, ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বরকত ও রুবেল অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর