শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

মুহিবুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জাতিসংঘের

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

মুহিবুল্লাহ হত্যার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আহ্বান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মো. মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র মর্মাহত ও পর্যুদস্ত উল্লেখ করে এর পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ আহ্বান জানান। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে অ্যান্থনি ব্লিনকেনের বিবৃতিটি প্রচার করা হয়েছে। একইভাবে হত্যাকাণ্ডে  জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবির কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন তার বিবৃতিতে বলেন, ‘গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যার খবর আমাদের গভীরভাবে মর্মাহত ও পর্যুদস্ত করেছে। সারা বিশ্বে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার সুরক্ষায় তিনি ছিলেন এক সাহসী ও শক্তিশালী প্রচারক। তিনি জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের পাশাপাশি ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ধর্মীয়ভাবে  নিপীড়িত হওয়া জনগোষ্ঠী হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা  তুলে ধরেন।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জঘন্য এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে আমরা তার হত্যার পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানাই। আমরা রোহিঙ্গাদের পক্ষে সমর্থন অব্যাহত রেখে এবং রোহিঙ্গারা নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে যাতে উচ্চকণ্ঠ হতে পারেন সে জন্য সহায়তার মাধ্যমে তার কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব।’ বিবৃতির পাশাপাশি এক টুইটবার্তায় অ্যান্থনি ব্লিনকেন লিখেছেন, ‘পৃথিবী মুহিবুল্লাহকে মনে রাখবে তার কাজের জন্য। রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে বহু কাজ করেছেন তিনি। মুহিবুল্লাহ ছিলেন সাহসী নেতা। তার হত্যার ঘটনায় আমরা মর্মাহত।’ অন্যদিকে, মুহিবুল্লাহ হত্যাকান্ডে শোক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ট্রেম্বলে গতকাল বলেছেন, বাংলাদেশি প্রশাসনের কাছে আমরা এ ঘটনা নিয়ে দ্রুত তদন্তের আর্জি জানিয়েছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এর আগে মুহিবুল্লাহ হত্যার তদন্তের দাবিতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর