সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

মজুদ থাকায় জোর পাচ্ছে টিকা কর্মসূচি

আছে ১ কোটি ৮১ লাখ, চলতি মাসে আসবে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মজুদ থাকায় জোর পাচ্ছে টিকা কর্মসূচি

দেশে বর্তমানে টিকা আছে ১ কোটি ৮১ লাখ। চলতি মাসে আরও ১ কোটি ২০ লাখের বেশি টিকা আসার কথা রয়েছে। হাতে টিকার মজুদ থাকায় নিয়মিত টিকাদান বাড়ানো ও নতুন কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শিগগিরই জন্মসনদের মাধ্যমে ১২-১৭ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা। গতকাল মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনসে কভিড-১৯ টিকা ও সমসাময়িক বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ২২ লাখ টিকা পেয়েছি। এর মধ্যে ৩ কোটি ৬১ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ এবং ১ কোটি ৮২ লাখ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এখন হাতে ১ কোটি ৮১ লাখ ডোজ টিকা রয়েছে। সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন আছে আরও ৫ কোটি ২০ লাখ মানুষের। চলতি মাসে আরও টিকা আসবে। প্রায় ৩ কোটি টিকা হাতে মজুদ থাকবে। নভেম্বরে কেনা টিকার পাশাপাশি কোভ্যাক্স সহায়তা থেকেও টিকা আসার কথা রয়েছে। সে হিসেবে তখন প্রায় পৌনে ৪ কোটি টিকা হাতে থাকবে। সবচেয়ে বেশি টিকা আসবে ডিসেম্বরে। চীন, ভারত থেকে কেনা টিকা ও সহায়তার টিকা মিলে ৫ কোটি টিকা পাব। জানুয়ারিতে পৌনে ৪ কোটি ডোজ টিকা থাকবে। তিনি আরও বলেন, টিকা হাতে থাকায় প্রতিদিন ৪-৬ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্পেইনে এক দিনে ৮০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর চেয়ে আরও বেশি টিকা এক দিনে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। টিকা পাওয়ার কোনো সুযোগ আমরা ছাড়িনি। এ জন্য দৈনিক টিকা দেওয়ার হার বাড়াচ্ছি। ১০-১৫ লাখ টিকা প্রতিদিন দেওয়ার পরিকল্পনা করছি। এর পাশাপাশি ক্যাম্পেইন চালানো হবে। আগামী মার্চের মধ্যে ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারব। এ জনসংখ্যা দেশের ৭০ শতাংশ। এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

চীনের বড় চালানে টিকা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিভাগ। এর মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে এসেছে ফাইজারের টিকার চালান। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শিগগিরই ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, চার দিন আগে আমি জেনেভা সফর করেছি। শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছি। তারা সংক্রমণরোধে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের (১২ থেকে ১৭ বছর) ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছেন। শিগগিরই আমরা শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করব। এখন ফাইজারের ৬০ লাখ টিকা মজুদ রয়েছে। ৬০ লাখ টিকা ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে। এর মধ্যে আরও ৭০ লাখ ফাইজারের টিকা আসবে। তখন শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রমে কোনো ঘাটতি পড়বে না। ১২-১৭ বছর বয়সীদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় জন্মসনদ দিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করা হবে। শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠাবে স্কুলগুলো। আইসিটি মন্ত্রণালয় নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও বাড়াবে।

সর্বশেষ খবর