বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

কভিড-পরবর্তী নানা জটিলতায় খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরনো রোগের সঙ্গে কভিড-পরবর্তী জটিলতায় ভুগছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এখনো তাঁর জ্বর কমেনি। এরই মধ্যে শারীরিক বেশ কিছু পরীক্ষা করা হয়েছে। সব রিপোর্ট এখনো আসেনি। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বরাত দিয়ে গতকাল তাঁর পারিবারিক এক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। সূত্র এও জানান, লন্ডনে থাকা বেগম খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান সর্বক্ষণ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

শারীরিক তাপমাত্রা ওঠানামা করায় মঙ্গলবার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেগম জিয়া। পারিবারিক সূত্র জানান, এখন পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গতকাল মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সিটিস্ক্যান, এমআরআইসহ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকাল সব রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এখন পর্যন্ত যেসব রিপোর্ট পাওয়া গেছে সেখানে খালেদা জিয়ার রক্তে উচ্চমাত্রার শর্করা ও ইউরিন ইনফেকশন ছাড়া উদ্বেগজনক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। চিকিৎসকরা আশা করেন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন কোনো সমস্যা না হলে শিগগিরই বাসায় ফিরতে পারবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। আছে বার্ধক্য জটিলতাও। এ ছাড়া কভিড-পরবর্তী জটিলতাসহ হতাশায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। বড় ছেলে তারেক রহমান ও ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর পরিবার যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি ও পারিবারিক পরিবেশে থাকার সুযোগ পেলে খালেদা জিয়া আরও সুস্থ হয়ে যাবেন। এ ছাড়া সেখানে তিনি উন্নত চিকিৎসাও পেতেন। এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে, তিনি অসুস্থ। তিন বছর তিনি জেলে ছিলেন, তাঁর কোনো চিকিৎসা হয়নি। চিকিৎসকরাই বারবার করে বলেছেন তাঁর যে অসুস্থতাগুলো আছে, যে রোগগুলো আছে তার চিকিৎসা এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে করা সম্ভব নয়। সব রোগের একসঙ্গে চিকিৎসা করতে পারে এ ধরনের মানসম্পন্ন যে হাসপাতাল আছে সেখানে তাঁকে নেওয়া দরকার। চিকিৎসকরা পরিষ্কার করে বলেছেন বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। বাইরেই তাঁকে যেতে হবে।’ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। একপর্যায়ে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন খালেদা জিয়া।

সর্বশেষ খবর