প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক গাড়িচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
গতকাল কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, আবদুুল জলিল আকন্দ দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৩৪ লাখ ১৮ হাজার ১৯৮ টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৪১৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ- মোট ১ কোটি ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬১৫ টাকা ঘোষণা দেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের সময় তার নামে (ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-৪৭৫৮) গাড়ি কেনা বাবদ ১০ লাখ ২০ হাজার ৯১১ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ২৩ লাখ ২৮ হাজার ৩৭৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গোপনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে আবদুল জলিলের নামে ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩৬০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে জলিলের স্ত্রী জাহানারা বেগমের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজ ও কন্যাদের নামে ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৮ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ও নিজ নামে ২ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের হিসাব জমা দেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের সময় জাহানারা বেগমের পূবালী ব্যাংকের কুড়িল বিশ্বরোড শাখায় ৩০ হাজার ৬৮৯, তিনটি গাড়ি কেনা বাবদ ৯ লাখ ১৪ হাজার ৮২৬, ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৯১২, ১ লাখ ৫০ হাজার এবং মাটি কাটার ভ্যাকু মেশিন কেনা বাবদ ১২ লাখ টাকা- মোট ২৭ লাখ ৫০ হাজার ৪২৭ টাকার অস্থাবর সম্পদ গোপন করেছেন। পাশাপাশি অনুসন্ধানকালে জাহানারা বেগমের নামে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৩১ হাজার ৮৭৭ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। দুদকের অনুসন্ধানে ২ কোটি ২৮ লাখ ৭ হাজার ৭১৫ টাকার গ্রহণযোগ্য বা বৈধ আয় এবং ১ কোটি ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। মামলায় সব মিলিয়ে এ দম্পতির মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ ১২ হাজার ৪০২ টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগে অনুসন্ধান কর্মকর্তা মামলা করেন।
