শিরোনাম
শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

নরওয়েতে তীর-ধনুক নিয়ে পাঁচজনকে হত্যায় ধর্মান্তরিত মুসলিম

প্রতিদিন ডেস্ক

নরওয়ের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তীর-ধনুক নিয়ে এক ব্যক্তির ধারাবাহিক হামলায় পাঁচজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানী অসলো থেকে ৬৮ কিলোমিটার দূরের কংসবার্গে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারী ব্যক্তি (৩৭) সম্প্রতি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পুলিশ তাকে আটক করেছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।

স্থানীয় পুলিশ প্রধান ওয়েভিন্দ আস সাংবাদিকদের বলেছেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ধরা হয়েছে। বুধবার রাতে ওই হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তাৎক্ষণিকভাবে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে মনে হচ্ছে তিনি একাই এসব হামলা চালিয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন, তবে সে সময় তিনি দায়িত্বরত ছিলেন না। পুলিশ আরও জানায়, হামলাকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার নারী ও এক পুরুষকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। নিহতদের বয়স ৫০ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। কেন এভাবে হত্যাকান্ড ঘটানো হলো, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। পুলিশ বলেছে, এটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ কিনা, তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হবে। খবরে বলা হয়, নরওয়েতে তীর-ধনুক ছুড়ে পাঁচজনকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হওয়া সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্পর্কে আগে থেকে জানত পুলিশ। ওই ব্যক্তি ডেনিশ নাগরিক। তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন এবং উগ্রপন্থায় জড়ানোর আশঙ্কায় তাকে নজরে রাখা হয়েছিল। নরওয়ের পুলিশ কর্মকর্তা ওলে ব্রেডরুপ সায়েভেরুড সাংবাদিকদের জানান, আগে থেকে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে উগ্রপন্থায় সংশ্লিষ্টতার ভয় পাচ্ছিলেন তারা। ২০২০ সালে তাকে নজরে রেখেছিল পুলিশ। তবে ২০২১ সালে তার ব্যাপারে কোনো খোঁজখবর পুলিশের হাতে ছিল না। ‘অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি আমরা খতিয়ে দেখছি, এটি সন্ত্রাসী হামলা ছিল কি না।’ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আটকের পর সন্দেহভাজন হামলাকারীকে প্রথমে ড্রাম্মেন শহরের একটি থানায় নেওয়া হয়।

 সেখানে তার আইনজীবী ফ্রেডেরিক নিউম্যান জানান, তাকে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আর তিনি পুলিশকে সহায়তা করেছেন। সন্দেহভাজনের মা ড্যানিশ নাগরিক আর বাবা নরওয়ের। পুলিশ প্রসিকিউটর অ্যান আইরেন জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি গত কয়েক বছর ধরেই কংসবার্গ শহরে বসবাস করছেন। এদিকে এ ঘটনার পর পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার নির্দেশ দিয়েছে নরওয়ের পুলিশ অধিদফতর। প্রসঙ্গত, নরওয়েতে পুলিশ সাধারণত সঙ্গে অস্ত্র রাখে না, তবে প্রয়োজন পড়লে কর্মকর্তারা বন্দুক ও পিস্তল ব্যবহারের অনুমতি পান। পুলিশ দফতর বলেছে, এটা (অস্ত্র সঙ্গে রাখার নির্দেশ) অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ। তবে জাতীয় নিরাপত্তা সতর্কতার মাত্রা পরিবর্তন করার মতো কোনো ইঙ্গিত এখনো মেলেনি। নরওয়েতে ২০১১ সালের পর এমন প্রাণঘাতী হামলা আর ঘটেনি। এক দশক আগে কট্টর ডানপন্থি আন্দ্রেই ব্রেইভিকের সেই হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের বেশির ভাগই ছিল কিশোর বয়সী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর