রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

নির্যাতন সইতে না পেরে গায়ে আগুনে মৃত্যুতে মামলা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নির্যাতন সইতে না পেরে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া অন্তঃসত্ত্বা সেই কিশোরী গৃহবধূ মৃত কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েই বিদায় নিয়েছে পৃথিবী থেকে। এ ঘটনায় গতকাল কলমাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভোক্তভোগীর পরিবার।

গত ৯ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলায় আবু তাহের মিস্ত্রির ছেলে শাহিনুর আলম শাহিনের স্ত্রী সুরাইয়া নেওয়াজ লাবণ্য (২০) গায়ে কেরোসিন ঢেলে অগ্নিদগ্ধ হন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ নিলে সেখান থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ওসি আবদুল আহাদ খান জানান, লাবণ্য নামের ওই নারীর বাবার বাড়ি কলমাকান্দা থানায়। তার চাচা শাহ মোস্তফা মো. সাইদুল গতকাল ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। লাবণ্যর স্বামীর নাম শাহিনুর আলম শাহীন (২৫)। গত বছর তাদের বিয়ে হয়। মামলায় স্বামী ছাড়া অন্যরাও আসামি রয়েছেন। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি আর ননদের নির্যাতন সইতে না পেরে নিজের গায়ে আগুন দেন অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী গৃহবধূ সুরাইয়া নেওয়াজ লাবণ্য। ৯০ ভাগ পোড়া শরীর নিয়ে লাবণ্য ভর্তি ছিলেন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন হাসপাতালে। গত বৃহস্পতিবার সেখানে তিনি মৃত কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়ে পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেন। লাবণ্যর বাবা আরিফুল ইসলাম জানান, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন লাবণ্য সকালে মৃত সন্তান জন্ম দেয়। পরে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। দুপুর ১২টার দিকে মৃত সন্তানকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে সন্ধ্যায় আমার মেয়েটিও মারা যায়। মেয়ে-মা কেউই বাঁচল না।

সর্বশেষ খবর