রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলছে। এতে যারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না তাদের স্বার্থে আঘাত লেগেছে। তাই খুনোখুনির ঘটনা প্রত্যাবাসনবিরোধীরাই ঘটাতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। গতকাল ভোরে উখিয়া ক্যাম্পে সাত রোহিঙ্গা হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে সিলেটে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিচ্ছেন বলেও জানান মন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এর পরপর এমন ঘটনা আতঙ্কের বিষয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনে মিয়ানমার সীমান্তে গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মুহিবুল্লাহ হত্যা ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকান্ডের মধ্যে কোনো যোগসাজশ আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন লোকে বলছে ওখানে ড্রাগের ব্যবসা হয়। আর কেউ কেউ তথ্য দিয়েছে কিছু উইপন ও বন্দুকটন্দুকও আনা হয়। আমরা এসব নিয়ে কাল আলোচনা করেছি। আমার প্রস্তাব হলো এ ড্রাগ ও অস্ত্র পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে গুলি ছুড়তে হবে। এগুলো আমরা কাল আলোচনা করেছি।’ তিস্তার পানি হুট করে বাংলাদেশে ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আজ আমাদের স্বরাষ্ট্র সচিব ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে আলাপ করবেন। একাধিক ইস্যু আছে সেসব নিয়ে। পানির বিষয়টি আগে আমাদের জানিয়েছিল কি না আমি জানি না। তবে এটাসহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, সরকারি সম্পর্ক খুবই দৃঢ়। কিন্তু বিভিন্ন গোষ্ঠী বা ব্যক্তিবিশেষের কারণে অনেক সময় ঝামেলা হয়। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করব (ভারতের সঙ্গে)।’ গতকাল সকালে বিমানযোগে ঢাকা থেকে সিলেটে এসে পৌঁছান ড. মোমেন। ১০টার দিকে তিনি মহানগরের বালুচরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রিজলভ টু সেইভ লাইভ কার্যক্রমবিষয়ক ওই আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।