সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এহতেশামুল হক ভোলা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফীউদ্দিনের আদালতে জবানবন্দি দেন ভোলা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘শনিবার ভোলাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি মিতু খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।’ তিনি বলেন, ‘ভোলাকে শুক্রবার বেনাপোল থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেনাপোল যান ভোলা। গোপন সূত্রে এ তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, মিতু খুনের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন ভোলা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অস্ত্র কেনার টাকার জোগানদাতা, খুনের পরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে তথ্য দেন। জবানবন্দিতে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারের এ খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দেন ভোলা।পিবিআইর একাধিক সূত্র জানায়, গত ১৪ অক্টোবর ভোলার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চট্টগ্রামের একটি আদালত। এরপর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এ জন্য যশোরে অবস্থান করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ভোলার দুই বন্ধুকে আটক করে পিবিআই।
তাদের মাধ্যমে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে যশোর থেকে ভোলাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসির মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। খুনের পাঁচ বছর পর পিবিআইর তদন্তে এ খুনের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে পুরনো মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়। যাতে আসামি করা হয় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে বাবুল বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।