সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

কেন ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের নির্দেশ এরদোগানের

প্রতিদিন ডেস্ক

কেন ১০ দেশের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের নির্দেশ এরদোগানের

যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও নয়টি পশ্চিমা দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। বিচারাধীন ব্যবসায়ী ওসমান কাভালার মুক্তি দাবি করায় গত শনিবার তিনি এ নির্দেশ দেন। সূত্র : রয়টার্স।

এরদোগান যে ১০ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করতে বলেছেন, তার সাতটিই তুরস্কের ন্যাটো জোটের মিত্র। খবরে বলা হচ্ছে, আঙ্কারা শেষ পর্যন্ত সত্যি সত্যি এ রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করলে, এরদোগানের ক্ষমতায় থাকা ১৯ বছরের মধ্যে পশ্চিমের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের ফাটল এবারই সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করতে পারে। যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই কাভালা বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনকে চাঁদা দিতেন। চার বছর ধরে তিনি কারাগারে। তার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে দেশব্যাপী চলা বিক্ষোভে অর্থায়ন এবং ২০১৬ সালের ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও কাভালা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। গত সপ্তাহে ?তুরস্কে নিযুক্ত কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা এক যৌথ বিবৃতিতে কাভালার মামলায় দ্রুত ও ন্যায়সঙ্গত রায় এবং আটক এ ব্যবসায়ীর ‘যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি’ দাবি করেন। এর পরপরই তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই রাষ্ট্রদূতদের ডেকে পাঠায়, তারা যৌথ বিবৃতিটিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলেও অ্যাখ্যা দেয়। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, রাষ্ট্রদূতদের বহিষ্কার করা হচ্ছে এমন খবরের বিষয়ে তাদের মন্ত্রণালয় অবগত এবং তারা এ বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা চেয়েছেন। নরওয়ে বলেছে, তাদের দূতাবাস এখনো এ বিষয়ে তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা পায়নি। নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানা পর্যন্ত তারা এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করবে না। এ ছাড়া এক টুইটে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড স্যাসোলি বলেছেন, ১০ রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার হচ্ছে তুরস্ক সরকারের কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার সংকেত। আমরা ভয় পাব না। ওসমান কাভালার মুক্তি চাই। ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভে কফুল বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় এখনো রাষ্ট্রদূতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা পায়নি। বন্ধু দেশ ও মিত্রদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। আঙ্কারার সম্ভাব্য পদক্ষেপ এবং তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া নিয়ে ১০ দেশ একে অপরের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর