মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
উত্তপ্ত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

৯ ঘণ্টা পর শিক্ষক কর্মকর্তারা মুক্ত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

১৪ ছাত্রের চুল কর্তনের বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করায় ফের আন্দোলনে নেমেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বিশ্ববিদ্যালয়। চতুর্থ দিনের মতো শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। অন্যদিকে রবিবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে ক্লাস ও পরীক্ষায় ফেরাতে রেজিস্ট্রারসহ ৩৫ প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একাডেমিক ভবনে প্রবেশ করলে তাদের অবরুদ্ধ রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে ভোর ৪টার দিকে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা মুক্ত হয়ে বাসায় ফেরেন। এ অবস্থায় শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষামন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আবু জাফর, সাব্বির হোসেন, বেনজির নুসরাত বিভা ও আমিনুর রহমান জানান, ক্যাম্পাসে অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত হলেও স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্যাম্পাসে এসে আলোচনা করে আশ্বাস দিয়েছেন, ভিসির সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি সুরাহার ব্যবস্থা করবেন। এ কারণে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়নি। তারা বলেন, রবিবার ট্রেজারারসহ সব শিক্ষক-কর্মকর্তাকে ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। ভোরের দিকে রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী স্থানীয় যুবলীগ ও পুলিশ নিয়ে এসে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে তাদের বের করে নিয়ে যায়। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে তারা জানান।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামসুজ্জোহা জানান, আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জনভোগান্তি হয় বা মহাসড়ক অবরোধ এমন কোনো কর্মসূচি থেকে তারা বিরত থাকবে। আর তাদের দাবির বিষয়টি নিয়ে ভিসির সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও তিনি জানান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ভিসির সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন।

ভিসি আবদুল লতিফ জানান, রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। রাতে তারা শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের মুক্ত করে দিয়েছেন। এর পরও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে, যাতে তারা কোনো অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি না করে। সিন্ডিকেট সভার বিষয়ে তিনি জানান, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ছোটখাটো আইনি বিষয় খতিয়ে দেখতে হয়। এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য কয়েক দিনের সময় হাতে নিয়ে সিন্ডিকেট সভা মুলতবি করা হয়েছে। আইনি বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে কয়েক দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট সভা আহ্‌বান করে অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন নিজেই কাঁচি হাতে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেন বলে অভিযোগে ওঠে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর