শুক্রবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

কয়লাভিত্তিক জ্বালানি বন্ধে চাই কার্যকর নীতি : টিআইবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

কয়লাভিত্তিক জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করে ২০২১ সালের পর কয়লানির্ভর নতুন কোনো বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থায়ন না করার ঘোষণা প্রদানের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। পাশাপাশি গ্লোবাল ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)-সহ জলবায়ু তহবিলে ঋণ কিংবা বীমা নয়, অভিযোজনকে অগ্রাধিকার দিয়ে অধিক কার্বন নিঃসরণকারী উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে অনুদান হিসেবে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের জোর দাবি জানায় সংস্থাটি। আসন্ন জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন-কপ ২৬ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল এ-সংক্রান্ত ১৪টি দাবি জানিয়ে অবস্থানপত্র তুলে ধরে টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির অবস্থানপত্র উপস্থাপন করেন সংস্থাটির ক্লাইমেট ফাইন্যান্স পলিসি ইন্টিগ্রিটি প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মাহফুজুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও উপদেষ্টা-নির্বাহী ব্যবস্থাপনা অধ্যাপক ড. সুমাইয়া খায়ের। সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মন্জুর-ই-আলম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- এবারের কপ সম্মেলনে ২০৫০ সালের মধ্যে ‘নেট-জিরো’ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, কয়লার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা, প্রতিশ্রুত জলবায়ু অর্থায়ন প্রদান, বর্ধিত স্বচ্ছতা কাঠামো ও প্যারিস রুলবুক চূড়ান্ত করার মতো গুরুত্বর্পূণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। প্যারিস চুক্তি পরবর্তী সময়ে এ বিষয়গুলো নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য এ সম্মেলনই শেষ সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তাই যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোয় আসন্ন কপ-২৬ সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অনুন্নত দেশের জন্য অনুদান আদায়ে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) নেতৃত্বে বাংলাদেশকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে জিসিএফের প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ ছাড়ে দীর্ঘসূত্রতা বন্ধে সমন্বিত ও কার্যকর দাবি উত্থাপন করতে হবে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বাংলাদেশ সরকারের করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা মনে করি বাংলাদেশ যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, তাই ২০২১ সালের পর নতুন কোনো প্রকার কয়লা জ্বালানিনির্ভর প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থায়ন করবে না। বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তির যে প্রসার ঘটছে তা থেকে আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। আমাদের জাতীয়ভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পথরেখা প্রণয়ন করতে হবে।’

সর্বশেষ খবর