শিরোনাম
বুধবার, ৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ফাইল সংরক্ষণে সব মন্ত্রণালয় সতর্ক

নথি গায়েবে স্বাস্থ্যের নয়জন সিআইডির হেফাজতে, ঠিকাদার-অভিযুক্ত চিকিৎসকরা নজরদারিতে, দেড় মাস আগে নথির নিরাপত্তায় চিঠি দেওয়া হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি

উবায়দুল্লাহ বাদল ও মাহবুব মমতাজী

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় ফাইল সংরক্ষণে সতর্ক হয়েছে সচিবালয়ের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এ ঘটনার পর অধিকাংশ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নথি ও ফাইলের খোঁজ নিচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। বিশেষ করে অর্থ বরাদ্দ ও কেনাকাটা সংশ্লিষ্ট ফাইলগুলো সংরক্ষণের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডেকে ‘সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে’ কি না জানতে চাওয়া হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো সুরক্ষিত ড্রয়ার, কেবিনেটে বা আলমারিতে রাখা হয়েছে কি না, এসব আলমারি বা কেবিনেটের চাবি কার কাছে রাখা হচ্ছে তাও জানতে চাইছেন তারা। কোনো কোনো মন্ত্রণালয় তাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থ সংশ্লিষ্ট ফাইলগুলো শাখা কর্মকর্তাদের হেফাজতে রাখতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল রাখা ড্রয়ার, কেবিনেট ও আলমারির চাবি শাখা কর্মকর্তাদের হেফাজতে নিতেও বলা হয়েছে। গতকাল প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের একাধিক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বিভিন্ন অনুবিভাগ ও অধিশাখা সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ নথি গায়েবের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তারা হলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা অহিদ খান, প্রশাসন শাখার সেলিম ও বাজেট শাখার হাবিব। তাঁরা মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নয়জন কর্মচারী ও রাজশাহীর একজন ঠিকাদারকে নিজেদের জিম্মায় নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ওই ঠিকাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়। যে কক্ষ থেকে ১৭টি ফাইল গায়েব হয়েছে, সেই কক্ষ থেকে মাস দেড়েক আগেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজের একটি ফাইল গায়েব হয়েছিল। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে  প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া ও নথিপত্রের নিরাপত্তা চেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন শাখায় চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তা আমলে নেয়নি প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা।    

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় থেকে ফাইল চুরির ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত এবং এ ঘটনায় আমরা ক্ষুব্ধ। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্ত করে যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা তা নেব।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্বাস্থ্যের ১৭ ফাইল গায়েবের পর সচিবালয়ের অন্য মন্ত্রণালয়গুলোও এ বিষয়ে সতর্ক হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো সরেজমিন ঘুরে এমনই তথ্য মিলেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি কোনো পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা। তবে বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন, স্বাস্থ্যের ১৭ নথি গায়েবের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই প্রায় সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের টনক নড়ে। তারা তাদের অধীনস্থ কর্মকর্তাদের ডেকে গণমাধ্যমের খবরের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, ‘তোমাদের ফাইল-টাইল ঠিক আছে তো? আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে এমন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিজেদের ড্রয়ারে রাখ। যে সব আলমারি, ড্রয়ার ও কেবিনেটে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল রয়েছে সেগুলোর চাবি নিজেদের জিম্মায় রাখ। মনে রেখ- অঘটন ঘটলে কেউই রেহাই পাবে না। তখন কিন্তু শুধু কর্মচারী নয়, তোমরা কর্মকর্তারাও ফাঁসবে। আমাদেরও ফাঁসাবে।’

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পল্লী উন্নয়ন, সমবায় ও  স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) জানান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণের বিষয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন স্যারেরা আরও অধিক সতর্ক হতে বলেছেন। বিশেষ করে অর্থ বরাদ্দ ও কেনাকাটার ফাইলগুলো নিজ নিজ ড্রয়ার বা কেবিনেটে তালাবদ্ধ করে রাখতে বলেছেন। খোলা তাকে বা ডেস্কে যেন গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ফেলে না রাখা হয়।

বিষয়টি স্বীকারও করেছেন কয়েকজন সিনিয়র সচিব ও সচিব। নাম প্রকাশ না করে তারা অভিন্ন ভাষায় বলেন, ‘স্বাস্থ্যের ঝামেলা যাচ্ছেই না। রোজিনাকান্ডের পর থেকেই নানা বিষয়ে আলোচনায় রয়েছে তারা। এখন আবার ১৭টি ফাইল গায়েব। বিষয়টি ছোট করে দেখার কিছু নেই। তাই ঝামেলামুক্ত থাকতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরগুলোকেও আমরা এ বিষয়ে আরও অধিক সতর্ক হতে বলেছি। তাদের ডেকে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোকে নিজ জিম্মায় নিতে পরামর্শ দিয়েছি। লকার, কেবিনেট বা ড্রয়ারের চাবি যেন অফিস সহায়ক বা অন্যদের কাছে না দেয় সে বিষয়েও বলা হয়েছে।’  

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো খোয়া যায়। শাহাদৎ হোসাইন সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন। পাশের লাগোয়া কমবেশি ১০০ বর্গফুটের ঘরটিতে বসেন ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। ফাইলগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটে ছিল। ওই কক্ষটিতে কাজ করেন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন অনুবিভাগ, চিকিৎসা শিক্ষা অধিশাখা ও ডেসপাস শাখার মোট ১৩ জন কর্মচারী। সব মিলে ৮/৯ জনের বসার জায়গা থাকলেও বাকিরা এদিক-সেদিক ঘুরেই অফিস করেন বলে জানা গেছে। সচিবালয় নির্দেশমালা-২০১৪ অনুযায়ী যে কোনো সেকশনের ফাইল বা নথি সংরক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন ওই শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও)। কারণ শাখা অফিসার বদলি হলেও কিন্তু এওরা সাধারণত বদলি হন না। তারাই সব ধরনের নথি ও ফাইল প্রস্তুত করে থাকেন। ফাইল সেকশন কর্মকর্তার ওপরে চলে গেলে সেই দায়িত্ব পড়বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তার (পিও) ওপর। কিন্তু নথি সেকশনে থাকা অবস্থায় হারালে সেই দায়িত্ব বর্তায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তার ওপর। স্বাস্থ্যের ১৭ ফাইল গায়েব হওয়া শাখায় (ক্রয় ও সংগ্রহ-২) দীর্ঘদিন ধরে কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা নেই। এমনকি কোনো সেকশন অফিসারও নেই। প্রকল্প বাস্তবায়ন-১ শাখার উপসচিব নাদিরা হায়দারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকাই ফাইলগুলো তাদের কেবিনেটে রাখতেন। সেখান থেকেই ফাইলগুলো উধাও হয়।

সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই এই শাখার দায়িত্ব পান থানায় জিডিকারী কর্মকর্তা উপসচিব নাদিরা হায়দার। এ বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে মন্ত্রণালয়ের অপর একটি সূত্র জানায়, কিছুদিন আগে একই শাখা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত ফাইল গায়েব হওয়ার পর তিন দিনের ভিতরে খুঁজে দেওয়ার জন্য সাঁটমুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকাকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি চিঠির জবাব না দিলে তাকে শোকজ করা হয়। আয়েশা সিদ্দিকা বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। সে সময় শোকজের জবাবে তিনি বেশিরভাগই তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।’ এরপর নিয়ম অনুযায়ী জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন শাখায় অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তার শরীরের অবস্থা বিবেচনা ও সন্তানের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে কি না চিন্তা করে অ্যাকশনের বিষয়টি স্লো হয়ে যায়। পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব সরেজমিন কক্ষটি পরিদর্শন করে কক্ষে রাখা নথির নিরাপত্তার বিষয়টি পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। এমনকি এ বিষয়ে আলাদা একাধিক চিঠি দিয়েও নথিসহ কক্ষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রশাসন শাখায় চিঠি দেন তিনি। কিন্তু প্রশাসন শাখা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে গতকাল প্রশাসন অধিশাখার উপসচিব কাজী আনোয়ার হোসেনকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রতিবেদকের পরিচয় দিয়ে এসএমএস পাঠানো হলেও কোনো সাড়া দেননি তিনি।

ঠিকাদার-অভিযুক্ত চিকিৎসকরাও নজরদারিতে : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ক্রয় সংক্রান্ত নথিপত্র এবং অভিযুক্ত চিকিৎসকদের তদন্ত প্রতিবেদন চুরির ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে নজরদারিতে রেখেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। নজরদারির মধ্যে অন্তত ১৫ জন ঠিকাদার এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক রয়েছেন। গতকাল রাজধানী ও ঢাকার বাইরে অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে আটক করে মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। গতকাল দিনভর আটক ব্যক্তিদের সংস্থাটির অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা মেট্রো) ইমাম হোসেনের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের বিশেষ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার খালিদুল হক হাওলাদার, ঢাকা মেট্রো পশ্চিমের বিশেষ পুলিশ সুপার সামসুন নাহার, পূর্বের কানিজ ফাতেমা এবং ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জিসানুল হক উপস্থিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে চুরি হওয়া নথিগুলোর তালিকা সংগ্রহ করা হয়। এসব নথি কোন কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট তাদেরও একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব নথিতে সুবিধাভোগী এবং ভুক্তভোগী উভয়ের খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। এগুলোতে প্রভাবশালী একজন ঠিকাদার এবং প্রভাবশালী একজন চিকিৎসক নেতার অভিযোগ সংক্রান্ত নথিও ছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

তবে এসব বিষয়ে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। পুরো রহস্য উদঘাটন করা গেলে জানানো হবে। এদিকে নথি হারানোর ঘটনায় রাজশাহীতে অভিযান চালিয়ে ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটনকে আটক করে ঢাকায় সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয়। টোটন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত একজন ঠিকাদার। তার বাসা রাজশাহী নগরীর কেশবপুরের ভেড়িপাড়ায়। সোমবার রাতে ঢাকা থেকে সিআইডির একটি দল রাজশাহী গিয়ে বাসা থেকে টোটনকে আটক করে গতকাল ঢাকায় আনে। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গায়েব হওয়া নথির মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কেনাকাটা সংক্রান্ত নথিও আছে।

বিকাল সাড়ে ৩টায় টোটনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধ্যায় টোটন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাকে রাজশাহী থেকে ঢাকা আনে সিআইডি। এরপর কর্মকর্তারা ফাইল চুরির ঘটনায় বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান। বলেন, এর আগেও একই জায়গা থেকে আপনার ফাইল চুরি হয়েছে। কারা করছে, কেন করছে, কাউকে সন্দেহ করেন কি না- এমন সব প্রশ্ন করেন। তবে আমি বলেছি- কাউকে সন্দেহ করছি না। কর্মচারীদের ডেকে আমাকে দেখিয়ে বলেন- এনাকে চেনেন কি না, তারা বলেছে- চিনি না। পরে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমার জন্য দোয়া করবেন।

সর্বশেষ খবর