শুক্রবার, ৫ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

নিয়ম মেনেই ফাঁসি কার্যকর

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিয়ম মেনেই ফাঁসি কার্যকর

নিয়ম মেনেই চুয়াডাঙ্গার একটি হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মোকিম ও ঝড়ু নামে ওই দুই ব্যক্তির নিয়মিত আপিল শুনানির চার বছর আগেই তাদের দন্ড কার্যকর হয়েছে বলে বুধবার অভিযোগ তুলেছেন তাদের আইনজীবী। ওই আপিল আবেদনটি শুনানির জন্য বুধবারের কার্যতালিকায়ও ছিল। এ বিষয়ে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে খবর প্রকাশ হয়।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, তাদের জেল আপিল ছিল। তা খারিজ হওয়ার পর তাদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার অধিকার যেটা আছে তা দেওয়া হয়েছিল। মহামান্য রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দেওয়ার পর তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ফলে যে খবরটা প্রকাশ হয়েছে, এটা বোধ হয় সঠিক নয়।

আইনমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ডিভিশনে তাদের মৃত্যুদন্ডাদেশ কনফার্ম করা হয়েছিল। তারা জেল আপিল করেছিলেন। জেল আপিল শুনানি শেষে, এই বিচারিক আদালত এবং হাই কোর্টের রায়টাকে বহাল রাখা হয়। এরপর মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান। সেই আবেদন নাকচ করার পর ওদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। মন্ত্রী তার বক্তব্যের সপক্ষে যশোর কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের দলিলপত্রাদি থেকে পড়ে শোনান।

তিনি বলেন, আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি এটা বলতে পারি যে, জেল আপিলের শুনানির সময় আদালতে কোনো আইনজীবী থাকেন না। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা নিজস্ব একটা ফরমেটে জেল আপিলটা লেখেন। তাদের লেখাটা বিচারপতিদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিচারপতিরা এগুলো পড়েন। পড়ে যদি কোনো কাগজপত্র এর সঙ্গে দেওয়া হয়ে থাকে, সেই কাগজপত্রগুলো তারা দেখেন। অবশ্যই হাই কোর্ট ডিভিশনের রেকর্ডটা তাদের সামনে থাকে, সেগুলোও তারা দেখেন। এভাবে তারা শুনানি করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। জেল আপিলগুলো নিষ্পত্তি করেন। আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় ভুলটা হয়েছে...ভুল বলতে এই মামলার প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল হয়নি, এখন যে বিভ্রান্তি ঘটেছে সেটা হচ্ছে যে, কোনো এক সময় হয়তো একটা আপিল কেউ দাখিল করেছিল। আমি আমার ওকালতি জীবনে যেটা দেখেছি, এই রকম একটা আপিল যদি দাখিল করা হয় কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে, জেল আপিলও যদি থাকে তাহলে দুটো একসঙ্গে হয়ে যায়। আইনমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না আপিলটা কবে দাখিল করা হয়েছিল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর