শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
নরসিংদীতে ফের সংঘর্ষ

চার হত্যায় মামলা হয়নি, উদ্ধার হয়নি অস্ত্র

নরসিংদী প্রতিনিধি

ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে নরসিংদীর দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালীতে ফের দুই পক্ষে সংঘর্ষ ঘটেছে। গতকাল বিকালে আলোকবালী উত্তরপাড়ায় সংঘর্ষে জড়ান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ইউপি মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহতের ঘটনার এক দিন পরও থানায় কোনো মামলা হয়নি। কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। চরাঞ্চলগুলোয় বিপুল অস্ত্রের মজুদ থাকলেও এসব উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। এমনকি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়নি। এলাকায় বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার মেঘনা নদীবেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামে ইউপি নির্বাচন কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চারজন নিহত, গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহতের জেরে গতকাল ফের সংঘর্ষ বাধে। বিকাল সাড়ে ৪টায় আলোকবালী ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপুর সমর্থক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী মামুন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আসাদের সমর্থক মেম্বার প্রার্থী জব্বর মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন আহত হন। নরসিংদী সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো মামলা হয়নি। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে আলোকবালীতে দীপু ও আসাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। আসাদও মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ আরও তীব্র হয়। পরে দলীয় নেতা-কর্মীদের চাপে অ্যাডভোকেট আসাদ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এ নিয়ে তার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সকালে আসাদের সমর্থক রিপন মোল্লার সমর্থকরা টেঁটা, বল্লমসহ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নেকজানপুর গ্রামে দীপু চেয়ারম্যানের সমর্থক আবু খায়েরের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালান। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আমির হোসেন (৪৫), আশরাফুল (২২), খুশি বেগম (৫০) ও খাইরুল ইসলাম নিহত হন। ১০ গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। গুলিবিদ্ধ ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে ময়নাতদন্তের পর গতকাল দুপুরে জানাজা শেষে নিহত চারজনের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর