আর মাত্র চার দিন বাকি। এরই মধ্যে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনের সফলতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদীরা। লক্ষ্য অর্জনে ‘ব্যর্থ’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। ক্যাম্পেইনাররা এ সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে জরুরি পদক্ষেপে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে বলেও দাবি করেছেন। গতকালও (শনিবার) গ্লাসগোতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন।
আয়োজক সংস্থা এবং স্কটল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ২০০-র মতো বিক্ষোভের অংশ হিসেবে গতকাল গ্লাসগোর রাস্তায় প্রায় ৫০ হাজার লোক বিক্ষোভে সমবেত হয়েছেন। পরিবেশবাদীরা ইতিমধ্যে এ গ্রহ উষ্ণতার শিকার হয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী কীভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ২০০টির বেশি দেশের প্রতিনিধিরা গ্লাসগোতে অবস্থান করছেন।কপ-২৬ আলোচনার মাঝামাঝি কিছু দেশ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করেছে, যা আলাদা এক চুক্তিতে পর্যায়ক্রমে কয়লার ব্যবহার কমিয়ে আনা, জৈব জ্বালানি তহবিল বন্ধ করা এবং মিথেন কমানোর জন্য প্রতিশ্রুতি দেয়।
বৈশ্বিক কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ ২০২১ সালে মহামারী-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসছে এমন রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে তারা নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দেন। শুক্রবারের বিক্ষোভকালে জলবায়ু আন্দোলনকারীরা সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। পরিবেশবাদী সংগঠক থুনবার্গ বলেন, ‘বিশ্বনেতারা বৈজ্ঞানিক অভিন্ন মত এবং আমাদের উপেক্ষা করতে পারেন না।’
তিনি বলেন, ‘এটি আর জলবায়ু সম্মেলন নয়। এটি এখন একটি বৈশ্বিক গ্রিন ওয়াশিং উৎসব।’ এদিকে শনিবারের বিক্ষোভের প্রাক্কালে গ্লাসগো নগরীর কেন্দ্রস্থল ঘিরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।