সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাড়ি ফিরলেন খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাড়ি ফিরলেন খালেদা জিয়া

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজায়’ ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গতকাল সন্ধ্যা ৫টা ৩৫ মিনিটে ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথির সঙ্গে গুলশানের ভাড়া বাসায় পৌঁছেন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তিনি এখন কিছুটা সুস্থ বোধ করায় তাঁকে বাসায় নেওয়া হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই বাসায় উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি নেতা শিরিন সুলতানা, আফরোজা আব্বাস প্রমুখ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। জ্বর সেরে গেলেও শারীরিক দুর্বলতাসহ স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ২৫ অক্টোবর বায়োপসির জন্য খালেদা জিয়ার ‘সফল’ অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এর মাধ্যমে তাঁর শরীর থেকে টিস্যু নিয়ে বায়োপসি করা হয়। এ পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে উঠছেন। সেখানকার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁর বায়োপসিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তাঁর চিকিৎসা দিচ্ছেন। 

তিন বারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এর মধ্যেই গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। বাসায় চিকিৎসা নিয়ে করোনা থেকে সেরে উঠলেও শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। গত ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নিতে তিনি দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হলে খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয়। করোনা মহামারীর প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত চার দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির সময় বাড়ানো হয়।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর