সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন

প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপজেলা চেয়ারম্যানদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মচারীরা ‘আইনের চর্চা না করে’ নির্বাচিত উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন। তারা সাংবিধানিক আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচিত উপজেলা পরিষদকে কার্যকর করে পরিচালনার দাবি জানিয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম খান বীরু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট রিনা পারভীন, নাসির  উদ্দিন লাভলু, আবুল কালাম আজাদ সেলিম, আলমগীর হোসেন, নাসির উদ্দিন জিল্লু প্রমুখ। হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদকে অকার্যকর করে রাখা শুধু আইন অমান্যই নয়, বরং বিভিন্ন স্তরে কর্মরত ২৬টি ক্যাডারের কর্মচারীদের প্রতি অবহেলাও। আমরা আইনের চর্চার পক্ষে আর প্রশাসনিক ক্যাডারের কর্মচারীরা আইন অনুসরণ করছেন না।’ তিনি বলেন, ‘শুধু একটি ক্যাডারের কর্মচারীদের আইন না মানার কারণে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আমরা আজ কর্ম, মর্যাদা ও ব্যক্তিত্বহীন হয়ে পড়েছি। এমনকি এ ব্যাপারে হাই কোর্ট ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশনা জারি করলেও তা দেওয়া হয়নি, যা আদালতের প্রতি অবজ্ঞা।’

করোনাকালে স্থানীয় সরকারের ৬৫ হাজার জনপ্রতিনিধির মধ্যে ‘মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ সদস্য’ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন দাবি করেন হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার। তিনি বলেন, অনিয়মের কারণে তাদের অপসারণও করা হয়েছে। অথচ সরকারি কর্মচারীদের অবিরাম আইন অমান্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে কথায় কথায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের বিচার বিভাগীয় চার্জ গঠনের আগেই নির্বাহী আদেশ দ্বারা অপসারণ করা হয়, যা সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নই। জনপ্রতিনিধি ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সঙ্গে আমরা একযোগে আইন অনুযায়ী কাজ করতে চাই। কিন্তু নির্বাহী কর্মকর্তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নন। কিছু মন্ত্রণালয়ের কতিপয় ডিজি আইন অমান্য করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বিভিন্ন দায়িত্ব আরোপ করে দিচ্ছেন। আর এর মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের তারা অকার্যকর করে রাখছেন।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি কর্মসূচি ঘোষণা করে বলেন, এসব সমস্যা নিরসনে ১১ নভেম্বর থেকে দেশের বিভাগগুলোতে সফর করবেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে যদি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি না করা হয়, তাহলে আগামী ১৬ জানুয়ারি ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর কর্মসূচিও ঘোষণা করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর