মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

তিন মামলায় ফটো সাংবাদিক কাজলের বিচার শুরু

আদালত প্রতিবেদক

তিন মামলায় ফটো সাংবাদিক কাজলের বিচার শুরু

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর, কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক তিন মামলায় ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ তিন মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২ জানুয়ারি দিন ধার্য করে আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলায় সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার দায় থেকে দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩১ জনকে অব্যাহতি দেন। এছাড়া গত ৮ সেপ্টেম্বর কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা আরেক মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত।

গত বছরের ৯ মার্চ মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। তদন্ত শেষে গত ৮ এপ্রিল এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এছাড়া গত বছরের ১১ মার্চ সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কামরাঙ্গীরচর থানায় আরেকটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ১৪ মার্চ আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর আগে ১০ মার্চ হাজারীবাগ থানায় মামলা করেন ওসমান আরা বেলী। সেই মামলার তদন্ত শেষে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এদিকে, গত বছরের ১০ মার্চ পুরান ঢাকার বকশিবাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন কাজল। পরদিন কাজলের স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ১৮ মার্চ কাজলের সন্ধান চেয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক। প্রায় দুই মাস পর গত বছরের ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেফতার করার কথা জানায় বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ।

তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়। যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর গত বছরের ২৩ জুন কাজলকে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে দেখানো হয়। পরে হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানার মামলাতেও কাজলকে গ্রেফতার দেখায়। পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত বছরের ২৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত কাজলের জামিন আবেদন নাকচ করলে তিনি ৮ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনে গত ২৪ নভেম্বর এবং এরপর ১২ ডিসেম্বর তিন মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পান কাজল। সাত মাস কারাভোগের পর গত ২৫ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর