বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

লেনদেন ৬ হাজার কোটি টাকা, অবৈধ সম্পদ ৪২৬ কোটি

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

বিশেষ প্রতিনিধি

বিদেশে পলাতক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের প্রধান কার্যালয় এই চার্জশিট অনুমোদন দেয়। শিগগিরই উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন আদালতে চার্জশিট জমা দেবেন বলে জানা গেছে। দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জন ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। দুদকের অনুমোদিত চার্জশিট থেকে জানা যায়, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ এনেছে দুদক। পি কে হালদার ছাড়া চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ ব্যাপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। দুদক সূত্র জানায়, পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহিভর্‚ত সম্পদ অর্জন, বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেন ও অবৈধ উপায়ে অর্জনপূর্বক প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ কানাডায় পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় নামে-বেনামে এবং তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাগুজে কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে-বেনামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। শুধু তা-ই নয়, অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদসহ নিজের অবৈধ সম্পদের প্রকৃত অবস্থান গোপন করার হীন উদ্দেশ্যে নামে-বেনামে এবং তার স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট নানা কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে পরিচালিত ১৭৮টি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৬ হাজার ৮১ কোটি টাকা জমা এবং ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। তিনি ও তার ভাই প্রীতিশ কুমার হালদারসহ তদন্তে বেরিয়ে আসা ১২ জন আসামির পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত হয়ে কানাডায় ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন। গত বছর ৮ জানুয়ারি দুদক পি কে হালদারকে আসামি করে মামলাটি করে। তদন্তে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে আরও ১৩ জনের নাম পান তদন্ত কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

সর্বশেষ খবর