বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তার বিধান রেখে এসএসএফ বিল পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) বিল-২০২১’ বিল পাস করেছে সংসদ।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সংসদের ১৫তম অধিবেশনের তৃতীয় দিনের বৈঠকে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিলের ওপর আনীত বিএনপির রুমিন ফারহানা এবং জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারীর দুটি সংশোধনী গ্রহণ করা হয়। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়। বিলে আগের আইনের বিষয়গুলোও নতুন আইনে রাখা হয়েছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্য ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির পিতার পরিবারের সদস্যরা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, এসএসএফ তাদের দৈহিক নিরাপত্তা দেবে। বিলে বলা হয়েছে, এসএসএফের তত্ত্বাবধান ও নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত থাকবে। তল্লাশি, আটক ও গ্রেফতারের ক্ষমতাসহ থানার একজন ওসির যেসব ক্ষমতা আছে, এসএসএফের একজন কর্মকর্তার এই আইনের অধীনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সারা দেশে সেই ক্ষমতা থাকবে। বিলে জাতির পিতার পরিবারে সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এবং তাদের সন্তান এবং ক্ষেত্রমত সন্তানদের স্বামী বা স্ত্রী এবং তাদের সন্তান। সরকারি গেজেট দিয়ে ঘোষিত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও এই আইনের অধীনে নিরাপত্তা পাবেন।

এসএসএফ তার কাজের প্রয়োজনে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছেও সহায়তা চাইতে পারবে। যাদের কাছে সহায়তা চাওয়া হবে, তাদেরকে তা দিতে হবে বলে খসড়া আইনে বলা হয়েছে।

‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন-২০০৯’ এ যাই থাকুক না কেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। ১৯৮৬ সালের একটি অধ্যাদেশ দিয়ে বর্তমানে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর (এসএসএফ) কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সামরিক আমলে প্রণীত ওই আইন বাতিল করে বাংলায় নতুন আইন করতে বিলটি পাস করা হলো। গত ৩ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপিত হয়।

 

সর্বশেষ খবর