শনিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি২০

লড়াই করে হারল টাইগাররা

মেজবাহ্-উল-হক

লড়াই করে হারল টাইগাররা

বাবর আজমকে আউটের পর উল্লাসে মাতে টাইগাররা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঘুরে ফিরে সেই একই চিত্র। আবারও শেষ মুহূর্তের ভুলে জয় হাতছাড়া হয়ে গেল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরে গেল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ১২৭ রান করেছিল মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ১-০-তে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি আজ। টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে বাংলাদেশকে। হারলে শেষের ম্যাচটি হয়ে যাবে নিছক আনুষ্ঠানিকতার।

গতকাল শেষ চার ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৩৮ রান। ১৭তম ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে বাইশগজে ভয়ংকর হয়ে ওঠা পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান দিলখুশকে ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দেন পেসার শরিফুল ইসলাম। কিন্তু পরের ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান ১৫ রান দেওয়ায় ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় বাংলাদেশ। এরপর ১৯তম ওভারে আর সুবিধা করতে পারেননি শরিফুল। ওই ওভারে ১৫ রান দেন। শেষ ওভারে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান। গতকাল বাবর আজমদের মাত্র ১২৮ রানের টার্গেট দিয়ে পাওয়ার প্লেতে দুর্দান্ত বোলিং করেন বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র ২৪ রানেই পাকিস্তানের চার উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের দারুণ সুযোগ তৈরি করেন। প্রথম ছয় ওভারের মধ্যে পাকিস্তান সেরা চার ব্যাটসম্যানকে হারিয়েও লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় তুলে নেয় দারুণ এক জয়। কালকের ম্যাচে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪১/৪, কাকতালীয়ভাবে পাকিস্তানের স্কোরও ছিল ৪১/৪। কিন্তু ব্যবধানটা তৈরি হয়ে যায় পরের ১০ ওভারেই। যেখানে বাংলাদেশ করেছে পরের ৬০ বলে ৮৬ রান, সেখানে পাকিস্তান ৪ বল আগে খেলাই শেষ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ হারলেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। লো-স্কোরিং ম্যাচে তিনি ২২ বলে করেছেন ২৮ রান। দু-দুটি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। তবে সোহান আসল ক্যারিশমা দেখিয়েছেন কিপিংয়ে। উইকেটে সেট হওয়ার আগেই বোকা বানিয়েছেন শোয়েব মালিককে। পাওয়ার প্লের শেষ বল। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখছিলেন তার ব্যাট পপিং ক্রিজে আছে কি না কিন্তু আর আগেই সরাসরি থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন সোহান। এরপর ফখর জামানের উইকেটটি নিয়েছেন দুর্দান্ত এক ক্যাচে। এ ছাড়া পুরো ইনিংসে নজরকাড়া ফিল্ডিং তো করেছেনই। অলরাউন্ড পারফর্ম করেছেন মেহেদী হাসান। ব্যাট হাতে ২০ বলে অপরাজিত ৩০ রানের ইনিংস খেলার পর বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সেরা মুহূর্ত ছিল শেষের ওভারটি। বিশেষ করে ইনিংসের শেষ বলে তাসকিন আহমেদের ছক্কাটি ছিল দেখার মতো। হারিস রউফের বলে পুল করে স্কোয়ার লেগ দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন গ্যালারির দ্বিতীয় তলায়। একই ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসানের স্কুপে ছক্কাটিও ছিল অসাধারণ। শেষ ওভারে আসে ১৫ রান। কালকের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী। ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে শেষ মুহূর্তে ম্যাথু ওয়েডের ক্যাচ মিস করায় পাকিস্তান হেরে যায়, আর হাসান আলী হয়ে যান খলনায়ক। সেই হাসানই কাল পাকিস্তানকে জিতিয়ে নায়ক হয়ে গেলেন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর