রবিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

খালেদার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গণঅনশন

২২ নভেম্বর বিএনপির সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গণঅনশন

খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে গতকাল গণঅনশন করে বিএনপি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পুলিশি বাধা, হামলা ও গ্রেফতারের মুখে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা ও মহানগরে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। খুলনা, বরগুনা ও মাগুরা জেলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পুলিশের বাধা প্রদান, নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা ও বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় গণঅনশন কর্মসূচিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা না করলে রাজপথেই এর সমাধান হবে। অবিলম্বে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। তা না হলে আমাদের গণআন্দোলন শুরু হলো। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আপনাদের পতন হবে। আপনাদের গদিচ্যুত করা হবে। ’বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও তাঁর বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে গতকাল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সাত ঘণ্টার গণঅনশনে বিএনপি মহাসচিবসহ দলের সিনিয়র নেতারা সরকারের প্রতি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। একই দাবিতে আগামীকাল ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা, উপজেলা ও মহানগরীতে সমাবেশ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন মির্জা ফখরুল। রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করবে দলটি। এর পরও দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মহাসচিব। অনশন শেষে বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী পানি পান করিয়ে বিএনপি মহাসচিবের অনশন ভঙ্গ করান। নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাত ঘণ্টা আমরা না খেয়ে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া করেছি এবং বিদেশে তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য অনশন করেছি। এটা আমাদের জীবন-মরণ সমস্যা। আমাদের অধিকারের সমস্যা। ১৯৭১ সালে যে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, সে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সমস্যা। খালেদা জিয়া দেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ দেশের মাটি ও মানুষের সম্পর্ক। আমাদের মা এবং মাটি বলতে খালেদা জিয়াকেই বুঝি। এই নেত্রীকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত করতে হবে। তার জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা প্রস্তুত আছি।’ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি দুই হাত উপরে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন, দুই হাত তুলে শপথ গ্রহণ করি, দেশনেত্রীকে তাঁর চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠানো পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় অনশন কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শওকত মাহমুদ, আহমেদ আযম খান, শামসুজ্জামান দুদু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক এমপি জহিরউদ্দিন স্বপন, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহীদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুল হক খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে বিএফইউজে একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নূরুল আমিন রোকন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান প্রমুখ অংশ নেন। এ ছাড়াও জোট ও ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর মধ্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, রামচন্দ্র সাহা, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার চৌধুরী বুলবুলসহ শতাধিক নেতা বিএনপির এই গণঅনশনে বক্তব্য রাখেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া আজকে এতটাই অসুস্থ, তিনি আজকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি বারবার, বিদেশি ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন, বাংলাদেশে যা চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব এখানে তারা তা দিচ্ছেন, দিয়েছেন। তাঁর বেশ কিছু জটিলতা আছে। বিদেশে আরও অ্যাডভান্স সেন্টার ট্রিটমেন্ট না হলে তাঁকে সুস্থ করা যাবে না। তাঁর পরিবার থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা (সরকার) সে সুযোগ দেয়নি। ফিরিয়ে দিয়েছে। উপরন্তু পার্লামেন্টে সংসদ নেত্রী এমন ভাষায় কথা বলেছেন, যে ভাষা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং মিথ্যাচার করেছেন আইনমন্ত্রী। ৪০১ ধারায় সরকারের সম্পূর্ণ অধিকার আছে এবং এটা তাদের দায়িত্ব। সরকার নির্দেশ দিয়ে বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে।’ বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তাঁর উন্নত চিকিৎসা, এ দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এটা শুধু বিএনপির দাবি নয়, এদেশের জনগণের দাবি। তাই এই দাবি বাস্তবায়ন করতে হলে আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। তিনি সরকারকে রাজনৈতিক নোংরামি পরিহার করে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা যেন না ভাবী এখানেই আমাদের দায়িত্ব শেষ। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সফল না হব-  ততক্ষণ আমাদের চলার গতি থামবে না।’ গণঅনশনে সংহতি জানিয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, সংবিধানের কোন আর্টিকেলে আছে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না? আমি সাক্ষী ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে আমাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে পাঠানো হয়েছে। সে সময় আমি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলাম। আমি জার্মানিতে এক বছর ছিলাম। আর তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয় না।  বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা করতে দেবেন কি দেবেন না, এটাই আগামী দিনের রাজনীতিকে বিভাজন করবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিএনপিকে আরও কর্মসূচি দেওয়ার অনুরোধ জানান নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বিএনপির যে কোনো কর্মসূচিতে আমার সমর্থন থাকবে।’ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেন, খালেদা জিয়া এমন দায়িত্বশীল ব্যক্তি, যিনি দলমত-নির্বিশেষে সবার কাছে স্মরণীয় ও বরণীয়। শুধু তা-ই নয়, তিন-তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি দলের প্রধান। মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শর্ত সাপেক্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর মাঠে বিএনপির এটিই প্রথম কর্মসূচি। কর্মসূচি শুরুর নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে এতে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও হাজারো নেতা-কর্মী অংশ নেওয়ায় তা কার্যালয়ের সামনের সড়কে পালন করা হয়। এ কারণে সড়কের একপাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। একদিকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড়, অন্যদিকে ফকিরেরপুল মোড় পর্যন্ত সড়কের এক দিকের ফুটপাথে মাদুর বিছিয়ে নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষজন গণঅনশনে অংশ নেন। বিএনপির অনশনকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশসহ সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।  এতে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন। এদিকে বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন-  বরগুনা : বিএনপির অনশন কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিপেটাসহ সেখান থেকে ছয়জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। জেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচি চলাকালে সেখানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ছয় নেতা-কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশের লাঠিপেটায় ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি বিএনপির। আটক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক ওয়াসিম রেজা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়জুল মালেক, পাথরঘাটা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমান। মাগুরা : পুলিশি বাধার মুখে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে মাগুরা বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ, সদস্য সচিব আকতার হোসেনসহ নেতা-কর্মীরা এই পুলিশি বাধার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। খুলনা : খুলনায় বিএনপির অনশন কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল সকালে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনশন শুরুর চেষ্টা করলে পুলিশ অনুমতি না থাকার কথা জানিয়ে তাদের ওই স্থান থেকে টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেয়। পরে দলীয় কার্যালয়ের অভ্যন্তরে অনশন কর্মসূচি পালন করেন নেতা-কর্মীরা।

নরসিংদী : নরসিংদীতে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে গণ অনশনে বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে সারা দেশে আগুন জ¦লবে। দিনাজপুর : জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রেজিনা ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন।

গাজীপুর : গাজীপুরের গণঅনশন কর্মসূচিতে বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল ও বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির খান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সরকার বক্তব্য রাখেন। সিলেট : কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহানগর ও রেজিস্টারি মাঠে জেলা বিএনপি এ কর্মসূচি পালন করে। সাতক্ষীরা : জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলীর সভাপতিত্বে গণঅনশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আবদুল আলীম, যুগ্ম-আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।

রাজশাহী : ভুবন মোহন পার্কের ভিতরে গণঅনশনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, দেশের মানুষ আজ ভালো নেই। দ্রব্যমূল্যের দাম যে কোনো সময়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না। প্রতিবাদ করলেই মামলা, হামলা, খুন, গুম এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র নেই।

বগুড়া : জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র  রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে গণঅনশন কর্মসূচিতে  বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলাল উদ্দিন তালুকদার লালু, এমপি মোশাররফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।

বরিশাল : বরিশাল মহানগর বিএনপির আয়োজনে অনশন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী হায়দার বাবুল, সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টু, উত্তর জেলা বিএনপির দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কামরুল ইসলাম শিকদার প্রমুখ।

টাঙ্গাইল : কেন্দ্রীয় বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামীল শাহীনের নেতৃত্বে শহরের সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ গণঅনশন অনুষ্ঠিত হয়। শেরপুর : শহরের রঘুনাথ বাজারস্থ দলীয় কার্যলয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচিতে সাধারণ সম্পাদক মো. হজরত আলী, বিএনপি নেতা আবদুল আউয়াল চৌধুরী অংশ নেন। রাঙামাটি : দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ গণঅনশন কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আলমের সভাপতিত্বে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাস, শ্রমিক দল, কৃষক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। পঞ্চগড় : দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ অংশ নেন। নাটোর : শহরের আলাইপুরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে রহিম নেওয়াজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী গোলাম মোর্শেদ, অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার টগর প্রমুখ। ময়মনসিংহ : দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু প্রমুখ।  লক্ষ্মীপুর : শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় কর্মসূচি পালন করে জেলা বিএনপি। চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শামছুল আলম, সাহাবুদ্দিন সাবু প্রমুখ এতে অংশ নেন। ফরিদপুর : শহর ও থানা বিএনপির উদ্যোগে স্থানীয় জনতা ব্যাংকের মোড়ে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এ এফ এম কাইয়ুম জঙ্গী, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। 

চাঁদপুর : দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. সলিম উল্যাহ সেলিমের সভাপতিত্বে অনশন কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব আনোয়ার বাবলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর