মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা
খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে সমাবেশ

বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

খুলনায় বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ -এএফপি

বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সারা দেশে জেলা, উপজেলা ও মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। ঢাকা, খুলনা, নাটোরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পুলিশের বাধা প্রদান, নেতা-কর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা এবং বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।

ঢাকায় সমাবেশ শেষে হাই কোর্টের সামনে দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে কাকরাইল মোড়ে পুলিশ ছাত্রদলের মিছিলে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ করেন নেতারা। ঢাকার সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আমাদের সামনে এখন আর কোনো পথ খোলা নেই। আমাদের সামনে একটাই পথ- আন্দোলন, আন্দোলন আর আন্দোলন। এ আন্দোলন তীব্র করে সামনের দিকে আরও বেগবান করতে হবে।’

আগামীকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার দাবিতে বুধবার সারা দেশে জেলা প্রশাসকদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এর পরও যদি তাঁকে মুক্তি না দেওয়া হয় তাহলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর থেকে কঠোরতর হবে।’

বরিশালে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ  -বাংলাদেশ প্রতিদিন

গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে তাঁর সুচিকিৎসার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী এতে অংশ নেন। সমাবেশস্থলের ফুটপাথ ও রাস্তায় সহস্রাধিক নেতা-কর্মী সমবেত হয়ে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। সমাবেশে ব্যাপক মানুষের উপস্থিতিতে যাত্রীবাহী বাসসহ রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের আমিনুল হকের পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মহানগরী উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নাজিম উদ্দিন আলম, শিরিন সুলতানা, মীর সরাফত আলী সপু, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার দলের ভাইবোনদের উদ্দেশে একটা কথা বলতে চাই- হঠকারিতা করবেন না। অতীতে হঠকারিতার জন্য আমাদের অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং তাঁকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাব। এ সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে দিয়েছে। আজ সারা দেশে দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। তাই আসুন এ সরকারকে বিদায় করার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আসুন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আগামী দিনে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করি।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়াকে তাঁর উন্নত চিকিৎসায় বাধা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন নতুবা এ বিলম্বের কারণে আপনাদের অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।

ছাত্রদলের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ : রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদল নেতারা। তারা জানান, এ সময় অন্তত ১৩ নেতা-কর্মী আহত হন। বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশে অংশগ্রহণ শেষে স্লোগানসহকারে তারা হাই কোর্টের সামনে দিয়ে কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রেস ক্লাবে সমাবেশ শেষে স্লোগানের সঙ্গে হাই কোর্ট মোড় দিয়ে মৎস্য ভবন হয়ে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হন।’ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো আরও খবর-

খুলনা : খুলনায় বিএনপির সমাবেশ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে মহানগরী বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খানসহ কমপক্ষে ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ ছাড়া লাঠিচার্জে স্থানীয়া দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার ফটোসাংবাদিক দেবব্রত রায় ও কয়েকটি টিভি চ্যানেলের চিত্রসাংবাদিক আহত হয়েছেন। পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপসহ লাঠিচার্জ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

নাটোর : নাটোর শহরের আলাইপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর সহধর্মিণী জেলা বিএনপির সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন ছবিসহ ৫০ নেতা-কর্মী ও ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ সময় যুগান্তরের নাটোর প্রতিনিধি শহিদুল হক, বাংলাভিশনের নাটোর প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম আহত হন। সমাবেশ শুরু হওয়া মাত্রই পুলিশ লাঠিচার্জ, ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে বলে অভিযোগ করেন নেতারা।

রাজশাহী : মহানগরীর মালোপাড়ায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে সমাবেশ করেছেন মহানগরী বিএনপি। মহানগরী বিএনপি সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তফা প্রমুখ। মানিকগঞ্জে সকালে কোর্ট এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে আদালত চত্বরে গিয়ে তা সমাবেশে পরিণত হয়। ময়মনসিংহে দুপুরে নতুন বাজার এলাকায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি। রংপুরে দুপুরে গ্রান্ড হোটেল মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সামসুজ্জামান সামু, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজুর নেতৃত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালে মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে সদর রোডে দলীয় কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহের ভালুকায় নতুন বাসট্যান্ড এলাকায় সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। দিনাজপুরের হিলিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জামালপুর শহরের স্টেশন রোডে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে জেলা বিএনপি।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের নতুনবাজারে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশি বাধার মুখে মাগুরা জেলা বিএনপি বেলা ১১টায় শহরের ভায়না দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। রাঙামাটিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। পিরোজপুর জেলা বিএনপি বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সুনামগঞ্জে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেব বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা বিএনপি। দুপুরে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আইনমন্ত্রীকে আজ স্মারকলিপি দেবেন আইনজীবীরা : এদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে আজ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দেবে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আমাদের দুপুর দেড়টায় সময় দিয়েছেন। আমরা ১৫ জন আইনজীবী তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দেব।’

খালেদা জিয়ার অবস্থা ভালো নয়-চিকিৎসক : এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়া এখনো ক্রিটিক্যাল অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর অবস্থা ভালো নয়। এভারকেয়ার হাসপাতালের সর্বোচ্চ চিকিৎসায়ও তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। অপরিবর্তিত রয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তিনি এখনো ক্রিটিক্যাল অবস্থার মধ্যেই আছেন। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার হার্ট, কিডনি ও লিভারসহ অনেক শারীরিক জটিলতা রয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ডায়াবেটিসও অনিয়ন্ত্রিত। হিমোগ্লোবিনের সংকট রয়েছে। রক্তচাপও ওঠানামা করছে। ডাক্তাররা সার্বক্ষণিক ক্লোজড মনিটরিং করছেন। তাঁর বিভিন্ন প্যারামিটারসগুলো ওঠানামা করছে। সে অনুযায়ী কর্তব্যরত চিকিৎসকরা নতুন কোনো লক্ষণ দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড কাজ করছে।

খালেদা জিয়ার ১১ মামলার পরবর্তী হাজিরা ১৫ মার্চ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দায়ের করা ১১ মামলার হাজিরার জন্য আগামী ১৫ মার্চ ধার্য করেছে আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ দিন ধার্য করেন। গতকাল ১১ মামলায় খালেদার হাজিরার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। এ জন্য তাঁর আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে আদালতে আগামী ১৫ মার্চ পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের প্রথমদিকে বিএনপির হরতাল চলাকালে দারুস সালাম থানায় আটটি ও যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। ২০১৬ সালের প্রথমদিকে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ ছাড়া এক ব্যক্তি একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন। খালেদা জিয়া ছাড়া এসব মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হলো- দারুস সালাম থানার নাশকতার আট মামলা, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও যাত্রাবাড়ী থানার দুই মামলা। এই ১১ মামলার মধ্যে ১০ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি এবং যাত্রাবাড়ী থানার একটি মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।

সর্বশেষ খবর