মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

পদ্মা সেতু খুলছে আগামী বছর জুনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ জনপদের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আগামী বছরের (২০২২) ৩০ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে ব্রিফিংকালে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২১ অর্থবছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন। পদ্মা সেতুর কাজ ৮৭ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আশা করছি ৩০ জুন (২০২২) বা তার আশপাশের সময়ে ইনশাআল্লাহ যান চলাচল ওপেন করে দেওয়া হবে।’ ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়ই পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তা শুরু হতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে পুনরায় পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণ সহায়তার প্রস্তাব নিয়ে আসে বিশ্বব্যাংক। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন বিলম্বিত হতে থাকে। ২০১০ সালের জুলাইয়ে সেতু নির্মাণের জন্য প্রাক-যোগ্যতা দরপত্র মূল্যায়ন করে পাঁচ দরদাতাকে বাছাই করে তা বিশ্বব্যাংকের অনাপত্তির জন্য পাঠানো হলেও সংস্থাটি তা ঝুলিয়ে রাখে। এরপর পদ্মা সেতুতে ‘সম্ভাব্য দুর্নীতির’ অভিযোগ আনে বিশ্বব্যাংক। দীর্ঘ টানাপোড়েন শেষে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংককে ‘না’ বলে দেয়। শেষ পর্যন্ত নকশা অপরিবর্তিত রেখে নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় সেই বিপুল কর্মযজ্ঞ। গত ১০ নভেম্বর পদ্মা সেতুর একেবারে শেষ পর্যায়ের কাজ মূল সেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাই শুরু হয়। ১০০ মিলিমিটার পুরুত্বের পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) হবে দুই স্তরের। প্রথম স্তর হবে ৬০ মিলিমিটার এবং দ্বিতীয় স্তর হবে ৪০ মিলিমিটারের।

 

সর্বশেষ খবর