শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

এবার কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা জব্দ করল সুপ্রিম কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় দেওয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের ফৌজদারি বিচারিক ক্ষমতা জব্দ করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গতকাল আপিল বিভাগ অন্য আরেকটি মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেয়। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক প্রজ্ঞাপনে কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চের এ আদেশের বিষয়টি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় পরে প্রকাশ হবে।’ সাইফুর রহমান জানান, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত এবং ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর সাবেক বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগে সশরীরে উপস্থিত হন। গতকাল আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ১ নম্বর ক্রমিকে ছিল রাষ্ট্র বনাম আসলাম সিকদার নামের একটি মামলা। যেখানে ধর্ষণ মামলায় স্থগিতাদেশ থাকার পরও আসামি আসলাম সিকদারকে জামিন দেওয়ায় বিচারক কামরুন্নাহারকে গত বছরের ১২ মার্চ তলব করে আপিল বিভাগ। ২ এপ্রিল হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। তবে করোনার পর এই মামলাটি আর কার্যতালিকায় আসেনি। এরপর মামলাটি ১৫ নভেম্বর কার্যতালিকায় আসে। ওই দিন এ বিষয়ে আপিল শুনানি হয়। একইভাবে গতকালও মামলাটি আপিল বিভাগের তালিকায় আসে। সকালে আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হলে বিচারক কামরুন্নাহার হাজির হন। এ সময় আপিল বিভাগ ওই বিচারককে রেখে আইনজীবীদের বিচার কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে শুনানি শুরু করেন। সাড়ে ৯টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত আর কেউই ওই কক্ষে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘ সময় পর বিচারক কামরুন্নাহার কোর্টের ভিন্ন একটি দরজা দিয়ে বের হয়ে যান। তবে এ বিষয়ে আদেশের বিষয়টি অনেকক্ষণ পর বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান। মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের মামলায় ২০১৯ সালের ১৮ জুন হাই কোর্ট থেকে জামিন পান বেসরকারি একটি টেলিভিশনের সাবেক অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক আসলাম সিকদার। ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার আদালত ওই বছরের ২৫ জুন জামিন স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠায়। আবেদনটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত বছরের ২ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার আসামিকে জামিন দেন। সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের পরও আসামিকে জামিন দেওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে আনে রাষ্ট্রপক্ষ।

সর্বশেষ খবর