কারাগারে থাকা অবস্থায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্লো-পয়জনিং করা হয়েছিল কি না- জানতে চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, যারা গুম খুন করছে, ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, তাদের দ্বারা স্লো-পয়জনিং কেন- কোনোকিছুই অসম্ভব নয়। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী যুবদল এই সমাবেশের আয়োজন করে।
যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পরিচালনায় সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শুধু নয়, তাঁকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতেও উঠে পড়ে লেগেছে সরকার। পরিত্যক্ত কারাগারে রেখে তাকে অসুস্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে সরকার। হাসপাতালে রেখেও উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করায় আজ দেশনেত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, মন্ত্রীরা চাইলেও মাত্র একজন ব্যক্তির কারণে বিদেশ যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া। মন্ত্রীরা বলছেন, জনগণ বলছে। সবাই বলছে, বিদেশি চাপও আছে। কিন্তু উনি কারও কথা শুনছেন না। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া এতটাই অসুস্থ যে, তাঁকে দেশে আর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রয়োগের পরও দেশে আর কোনো উন্নতি হচ্ছে না। মহাসচিব আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে হরতাল ঘোষণার আহ্বান জানানো হয়। এতে মির্জা ফখরুল কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কৌশলগতভাবে কর্মসূচি পালন করতে হবে, সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারকে বাধ্য করা হবে।
